সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেটে এত দিন ধরে এই নামটি বড় একটি নাম হয়ে থাকলেও বর্তমানে এই নামটিতেই হচ্ছে সব থেকে বেশি আলোচনা আর সমালোচনা।বিশেষ করে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেছে বেশ বাজে ভাবে। আর এই কারণেই তাকে নিয়ে এবার বড় দুঃসংবাদ দিল দুদক।
দুদক সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন জানান, সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেও তিনি কোনো পারিশ্রমিক পান না। ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাকিব আল হাসানের সাথে দুদকের স্বাক্ষরিত চুক্তিটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এছাড়া আমাদের হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনের সময় আমরা তার সাথে কাজ করেছি। এরপর দীর্ঘদিন তার সঙ্গে কোনো তৎপরতা ছিল না।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, সাকিবের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিষয়টি কমিশন দেখবে। তবে এর জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
গত কয়েক মাস ধরে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরেই বেশি আলোচিত সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পর বাবার নামে জালিয়াতি, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ রয়েছে।
গত মাসে অনলাইন জুয়া কোম্পানি বেটউইনারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেটউইনার স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করায় বিসিবি তিরস্কার করেছিল সাকিবকে। বলা হয়েছিল, চুক্তি বাতিল না হলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। বিসিবির এমন একরোখা অবস্থায় শেষ পর্যন্ত চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব।
একের পর এক বিতর্কে বাবার নাম নিয়ে আলোচনায় আসেন সাকিব। কোম্পানি ফরমে খন্দকার মসরুর রেজার পরিবর্তে কাজী আবদুল লতিফের নাম রাখা হয়েছে। তবে মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডের আকারে সাকিব আল হাসানের বাবার নাম ভুল করে খন্দকার মাশরুর রেজার পরিবর্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসানের বাবা কাজী আবদুল লতিফ বলে দাবি করা হয়েছে।
এ দিকে সাকিবকে নিয়ে একের পর সব সমালোচনা তৈরী হওয়ার কারনে দেশে তাকে নিয়ে এখনো অনেকেই শুরু করেছেন নানা ধরনের ট্রল। বিশেষ করে খেলার দিকে অমনোযোগী হয়ে ব্যবসা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোকে অনেকেই দেখছনে নেতিবাচক হিসেবে।