Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে শেষ লড়াইটাও লড়তে চায় মোস্তফা, যত বাধাঁ আসুক স্বামীর সাথেই থাকব: স্ত্রী

শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে শেষ লড়াইটাও লড়তে চায় মোস্তফা, যত বাধাঁ আসুক স্বামীর সাথেই থাকব: স্ত্রী

দিন রাত সগ্রাম করা অনেক মানুষ প্রকৃতির কাছে হার মেনে যায়। সব রকম পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকলেও হার মানতে হয় প্রকৃতির খেলার কাছে। প্রকিৃতির কাছে হেরে যাওয়া এমনি এক যুবকের কথা সম্প্রতি বেশ ভােইরাল হয়। তবে এখনো সে পুরোপুরি হার মানেনি শেষ লড়াইটাও লড়তে চায় সেই যুবক।

দিনমজুর মোস্তফা আলী (৪৮) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ঘাটেরপাড় এলাকার বাসিন্দা। অনেক আগেই তার কয়েক বিঘা চাষের জমি চলে গেছে। এখন বাকি ৬০ শতাংশ জমি ভাঙার হুমকিতে রয়েছে।

এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বস্তায় ভরে আবার নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছেন সাবরা।

মোস্তফা স্ত্রী ও ৩ সন্তান রেখে গেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বালির বস্তা ফেলে ঘর সংলগ্ন ধরলা তীর রক্ষার চেষ্টা করছেন। মোস্তফা আলীর খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

মোস্তফা বলেন, ‘এই ৬ শতাংশ জমি ছাড়া আমার আর কোনো সম্পদ নেই। এই জমি নদীগর্ভে চলে গেলে থাকার জায়গা থাকবে না। নগদ টাকা দিয়ে অন্য কোথাও জমি কেনার সামর্থ্য আমার নেই। ‘

পরিবারের শেষ আশ্রয় রক্ষার লড়াইয়ে স্ত্রী জোছনা বেগমকে (৪৩) সঙ্গ দিয়েছেন মোস্তফা। তিনি বলেন, আমরা জায়গাটি রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এ কাজে সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা আমরা পাইনি।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব হোসেন মনে করেন, মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা এতটাই উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন যে এই পর্যায়ে হয়তো তাদের জায়গা রক্ষা হবে। তবে ধরলার তীর রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।

ইউপি সদস্য জোনাব আলী জানান, নদীভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো তহবিল নেই। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

জোনাব আলী বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এখানে আলাদা প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান পাউবো।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যবসায়িক এলাকার কিছু অংশে সংরক্ষণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায় তা সম্প্রসারিত করা হবে।দিনমজুর মোস্তফা আলী (৪৮) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ঘাটেরপাড় এলাকার বাসিন্দা। অনেক আগেই তার কয়েক বিঘা চাষের জমি চলে গেছে। এখন বাকি ৬০ শতাংশ জমি ভাঙার হুমকিতে রয়েছে।

এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বস্তায় ভরে আবার নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছেন সাবরা।

মোস্তফা স্ত্রী ও ৩ সন্তান রেখে গেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বালির বস্তা ফেলে ঘর সংলগ্ন ধরলা তীর রক্ষার চেষ্টা করছেন। মোস্তফা আলীর খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

মোস্তফা বলেন, ‘এই ৬ শতাংশ জমি ছাড়া আমার আর কোনো সম্পদ নেই। এই জমি নদীগর্ভে চলে গেলে থাকার জায়গা থাকবে না। নগদ টাকা দিয়ে অন্য কোথাও জমি কেনার সামর্থ্য আমার নেই। ‘

পরিবারের শেষ আশ্রয় রক্ষার লড়াইয়ে স্ত্রী জোছনা বেগমকে (৪৩) সঙ্গ দিয়েছেন মোস্তফা। তিনি বলেন, আমরা জায়গাটি রক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এ কাজে সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা আমরা পাইনি।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব হোসেন মনে করেন, মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা এতটাই উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন যে এই পর্যায়ে হয়তো তাদের জায়গা রক্ষা হবে। তবে ধরলার তীর রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।

ইউপি সদস্য জোনাব আলী জানান, নদীভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো তহবিল নেই। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

জোনাব আলী বলেন, ‘বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এখানে আলাদা প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান পাউবো।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্যবসায়িক এলাকার কিছু অংশে সংরক্ষণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায় তা সম্প্রসারিত করা হবে।

উল্লেখ্য, দিনমজুর মোস্তফা আলী জানায় আমার এখন একটা খুঁটি দরকার সেটা হতে পারে বাংলাদেশ সরকার। আমি তার কাছে সাহায্য চাই। আমার শেষ সম্ভলটা যদি নদী গর্ভে চলে যায় আমার অবস্থা কি হবে।

About Nasimul Islam

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *