একে একে বিমানে উঠে পড়েছেন সকল যাত্রী। অন্যদিকে উড্ডায়নের জন্য রীতিমতো প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিমান পাইলটও। তবে শেষ মুহূর্তে এসে এক নারী যাত্রীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরেই ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এ ঘটনায় বিপাকে পড়তে হয় বিমানে অবস্থানরত সকল যাত্রীকে।
শুধু তাই নয়, শেষ মুহূর্তে ঐক মহিলা যাত্রী জরুরি অ্যালার্ম বাজানোয় নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা দেরিতে উড়ল ম্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর বিমান। ওই মহিলা অ্যালার্ম বাজিয়েছিলেন, এক সহযাত্রীর মোবাইলে আসা সন্দেহজনক বার্তা দেখে।
ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট রবিবার সকাল ১১টায় ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য বিমানবন্দরে আসেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে ছিল তার বান্ধবী। তার বেঙ্গালুরু যাওয়ার ফ্লাইট ধরার কথা। এমনকি লোকটি মুম্বাইয়ের ফ্লাইটে উঠার পরেও সে তার বান্ধবীর সাথে বার্তা বিনিময় করছিল। পাশের সিটে থাকা এক মহিলা যাত্রী সেটা দেখে ফেলেন। আর লেখাটা পড়তেই তার চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দ্রুত কেবিন ক্রুদের সাথে যোগাযোগ করেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কথা বলে বিমানটিকে এয়ার বে-তে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ওই বিমানের ১৮৫ যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ব্যাগেজ উন্মত্তভাবে তল্লাশি করা হয়. কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে ইন্ডিগোর ফ্লাইটটি মুম্বাই অতিক্রম করেছে। ততক্ষণে ৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। লোকটির বান্ধবীও বেঙ্গালুরুগামী ফ্লাইটে উঠতে পারেনি।
জানা গেছে, প্রেমিকার সঙ্গে বার্তা বিনিময় চলছিল। সেখানেই তাদের মধ্যে দুজন কিছু বানোয়াট কথা বলে, যা তৃতীয় ব্যক্তির দেখলে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। ম্যাঙ্গালুরু শহরের পুলিশ কমিশনার এন শশীকুমার বলেছেন, বোঝা যাচ্ছে যে দুজনে রসিকতা করছিল। গভীর রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
তবে এ ঘটনায় রীতিমতো ভোগান্তি পোহাতে হয় সবাইকেই। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পেরে অসন্তুষ্ট হয়েছেন কেউ কেউ।