বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খারাপ পারফরম্যান্স করার পর দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। বিশ্বকাপের আসর থেকে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে দেশে ফেরার পর দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে নানা বিষয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এদিকে ক্রিকেট স্টার তামিম ইকবাল নিজেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে সরিয়ে নেওয়ার পর বাংলাদেশের টাইগারদের মধ্যে পঞ্চপান্ডব হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটারদের ভেতরকার বিরোধের গুঞ্জন প্রকাশ পায়। এই বিষয়টি নিয়ে দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়দের মাঝে অনেকটা অন্তর্দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। যেটা নিয়ে বিসিবির বোর্ডের ভেতরেও আলোচনা শুরু হয়।
বোর্ডের সূত্রগুলো বলেছিল, মাহমুদউল্লাহ নাকি তামিমকে চান না। পরবর্তী সময়ে সেই গুঞ্জন হালে পানি পায় দুই বড় নাম সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে ঘিরে। এই দুই মহাতারকা একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সেটা সবাই জানে। কিন্তু তাদের মাঝে এখন সম্পর্ক ভালো নয়।
কিছুদিন আগেই খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রর ওয়েবসাইট ‘উৎপল শুভ্র ডট.কম’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান স্বীকার করেছিলেন তামিমের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির কথা। বলেছিলেন, ‘রুবেল কিছু স্ট্যাটাস লেখে না? যেমন জাতীয় ফল খেতে গেলে হাতে তেল মাখাতে হয়… এই জিনিসগুলা আসলে এ রকম।’ এ ছাড়া পঞ্চপাণ্ডবের মাঝে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতির কথাও স্বীকার করেছিলেন। এবার তামিম ইকবালও একই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
দেশের সেরা ওপেনার এখন চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন। পাঁচ মাস ধরে তিনি মাঠের বাইরে। সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে একই ওয়েবসাইটকে তামিম বলেছেন, ‘এই বন্ধুত্বও আপনারা বানিয়েছেন, এই সম্পর্ক খারাপও কিন্তু আপনারাই বানিয়েছেন। আমি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলি। গ্যারান্টি দিয়ে বলে দেব, ওয়ার্ল্ডে কোনো টিম নেই, যারা ১১ জন হ্যাপি ফ্যামিলির মতো থাকে। কারো না কারো সঙ্গে কোনো না কোনো কিছু থাকবেই। মাঠের মধ্যে কেউ মন খারাপ করে আছে কি না, রাগ করে আছে কি না, এটা হলো সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দক্ষতার বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পিসিবি বোর্ড ক্রিকেটারদের খেলার মান উন্নত করার জন্য নানা ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিসিবির প্রধান বলেন, আমাদের ক্রিকেটারদের খেলায় যথেষ্ট মনোনিবেশ দরকার এবং সেইসাথে তাদের একটি বড় সময় ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যয় করা উচিত। তবে বাংলাদেশ তাদের অত্যন্ত খারাপ পারফর্মেন্স থেকে নিজেদের ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে কিনা সেটা নিয়েও বিসিবি বোর্ডের চিন্তার কমতি নেই। তবে তাদের আশা খুব শীঘ্রই খেলোয়াড়রা তাদের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।