সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিজ ট্রাস। আর সেই থেকেই শুরু হয় তার বিপাকে পড়া। লিজ ট্রাস যখন ব্রিটেনের নেতৃত্বে বিজয়ী হয়েছিলেন, তখন একজন মিত্র ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে তিনি কার্যভার গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যায় পড়বেন।
কিন্তু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ট্রাস নিজেও এ কথা ও ক্ষোভের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। মাত্র ছয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতাবাদী অর্থনৈতিক নীতি আর্থিক সংকট তৈরি করেছে। অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্তসহ অন্যান্য সমস্যার কারণে সংকট আরও বেড়েছে।
এখন লিজ ট্রাস কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে একটি বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছেন, যা বিশ্বাস করা হয় যে তার নেতৃত্ব একটি সুতোয় ঝুলছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারণায় কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় আসার পর তা থেকে সরে আসেন তিনি। জেরেমি হান্টের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং, যিনি বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ট্রাসের তোপের মুখে পড়েছেন নিজ দলের এমপিরা। কেউ কেউ আগাম নির্বাচনের দাবিও তুলেছেন। এদিকে ট্রাস্টের নেওয়া আর্থিক নীতি ভুল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদের ওপর কর কমানোর সিদ্ধান্তে তিনি একমত নন বলে জানান। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে এটি সম্পূর্ণরূপে ব্রিটেনের নিজস্ব বিষয়।
এ দিকে যুক্তরাজ্যের রাজনীতির অবস্থায় বেশি ভালো না। সম্প্রতি দেশটির টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিজ ট্রাসকে “নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী” উল্লেখ করে ব্রিটেনের প্রাক্তন কনজারভেটিভ চ্যান্সেলর জর্জ অসবর্ন বলেন, ক্রিসমাসের আগে ট্রাস প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।