সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োজিত নারী কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তিনি সেখানে তার বাসায় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মারি’/জুয়ানা রেখেছিলেন। এরপর তাকে ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন সরকারি তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন অনুবিভাগ একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে।
গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ই আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে, দক্ষিণ জাকার্তায় আনারকলির অ্যাপার্টমেন্টে ইন্দোনেশিয়া সরকারের নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়। তাকে তার বাড়িতে ‘প্রচুর পরিমাণ গাঁজা রাখার’ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে কূটনৈতিক দায়মুক্তির কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আনারকলিকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচিব মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে কমিটি।
কাজী আনারকলী পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। জানা গেছে, ওই বাড়িতে তিনি এক নাইজেরিয়ান নাগরিকের সঙ্গে যৌথভাবে থাকতেন।
উল্লেখ্য, আনার কলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এ পর্যন্ত কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে নিয়োজিত বেশ কয়েকজন কূটনীতিকের কারণে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। যার কারণে বিপাকে পড়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এবার অপরা’ধীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে এই মন্ত্রণালয়।