নগরীর খুলনায় সম্প্রতি ঘটে গেছে একটি বড় ধরনের নাটকীয়তা। আর এই নাটকিটা চলেছে টানা ২৯ দিন ধরে। তবে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে এই নাটকের পেছনের গল্প। জানা গেছে খুলনার জনপ্রিয় গৃহবধূ রহিমা বেগমের রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় মূল হোতা তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। মরিয়ম মান্নানসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।
মামলায় গ্রেফতার ও কারাবন্দী মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা খুবই উচ্ছৃঙ্খল। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শাস্তি দিচ্ছে। কয়েক বছর আগে শরিফুল ইসলাম মাত্র ৮-৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করেন। মরিয়মের বাবার তিন বিয়ে, ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম সন্তান মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। এখন সেই জমি কাল।
মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, রহিমা বেগমের কাছ থেকে ব্যাগ, কাপড়, ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ফরিদপুরের ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জন্ম সনদ পরিবর্তন করতে যান, যা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশ ও আদালতের দেওয়া বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূ হেলাল হাওলাদারের দ্বিতীয় স্বামী, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গেল মাসের ২৭ তারিখ নিজ বাড়ি থেকে রাত্রে উধাও হয়ে যান রহিমা বেগম। আর এই থেকেই খোঁজ চলতে থাকতে তার। পরে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয় অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আক্তার বাদি হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় উপরোক্ত ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।