দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থাকবে কি হবে না, তা সময়ই বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর আদালত চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাবে না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব কি না তা সময়ই বলে দেবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
জিএম কাদের আরও বলেন, দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটি নির্দেশনা আছে, যারা ভোট দিতে করতে চান তারা করতে পারেন। যদি নির্বাচন করতে না চান, আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, হু/মকি বা টাকার অভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘটনা হতে পারে। অনেক প্রার্থী ধনী নন, অনেকে অর্থের কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে ওই আসনের ভোটাররা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর সরে যাওয়াটা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করা একটি বার্তা দেয় যে প্রার্থীরা অন্য কারো প্ররোচনা বা সমর্থন বা জবরদস্তি বা ভয়ের কারণে প্রত্যাহার করেছেন। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবদুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবুসহ নেতৃবৃন্দ। মিটিং
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা ২৬টি আসনে সমঝোতা করলেও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দেশের প্রায় সব আসনেই প্রার্থী দেয়। তবে সমঝোতা আসনের বাইরে বেশির ভাগ জায়গায় জাপা প্রার্থীরা তেমন আলোচিত নয়।
এদিকে, ভোটের এক সপ্তাহ আগে দেশের পাঁচটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এর মধ্যে দুটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্রার্থী। সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না, কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, কেউ থাকেন না। কেউ আগে থেকেই বসে আছে।