অবশেষে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসলেন নিপুণ ও ইলিয়াস কাঞ্চন ( Elias Kanchan )। শেষাবধি নতুন কমিটির দায়িত্ব পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। আগামি দুই বছর ইলিয়াস কাঞ্চন ( Elias Kanchan ) ও নিপুনের ( Nipun ) নেতৃত্বে বিএফডিসির কার্যক্রম চলবে। ইলিয়াস কাঞ্চন ( Elias Kanchan ) ও নিপুন কার্যালয়ে যান এবং এরপর তারা নিজেদের পদের চেয়ার গ্রহণ করেন। নতুন কমিটিকে, শিল্পী সমিতির সদস্যরা শুভেচ্ছা জানান।
ফিল্ম এক্সিবিটর অ্যাসোসিয়েশনকে পুনরায় সংযুক্ত করে মোট ১৯টি চলচ্চিত্র সংগঠনের সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। বুধবার ( Wednesday ) বিএফডিসিতে ( BFDC ) পরিচালনা পর্ষদের স্টাডি রুমে এক জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর।চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ( Film Artists Association ) নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ( Elias Kanchan ) ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী নিপুণ আক্তারকেও (Nipun Akter ) আহ্বায়ক কমিটিতে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ( Elias Kanchan )।
এছাড়াও দায়িত্বে রয়েছেন চলচ্চিত্র ক্রেতা সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু ( Abdul Latif Bachchu ), পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান ( Sohanur Rahman Sohan ), প্রযোজক ও পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু ( Khorshed Alam Khasru ) এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী সায়েব রশীদ।অন্যদিকে ( Kazi Saib Rashid. hand ) আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। তার সঙ্গে রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন ( Shaheen Sumon ) ও চলচ্চিত্র ক্রেতা সমিতির মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু।এ ( Asaduzzaman Majnu ) ছাড়া সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মো. সামছুল আলম ( Md. Shamsul Alam ) ও চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম ( Badiul Alam ) খোকন। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. সালাদিন।
আহ্বায়ক কমিটিতে রয়েছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহ আলম কিরণ ও মুশফিকুর রহমান গুলজার। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য রয়েছেন প্রায় ৩০ জন।আহ্বায়ক কমিটি জানায়, তারা শিগগিরই বৈঠকে বসে দেশের সিনেমা হলের পরিস্থিতি ও সিনেমার বিভিন্ন সংকট সমাধানে পরিকল্পনা নেবে।
উল্লেখ্য, পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আমাদের দেশে চলচ্চিত্র ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অনেক কারণ থাকলেও প্রধানত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মত উন্নত মানের চলচ্চিত্র প্রদর্শন না হওয়ায়, এতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে, প্রথমত চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরকে ভালো মানের ছবি উপহার দিতে হবে দর্শকদের। সেই সঙ্গে সিনেমা হলগুলোকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে হবে। সিনেমা হল মালিকদেরকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে আবারো সিনেমা হলগুলোকে উজ্জীবিত করা সম্ভব হবে।