বহুদিন ধরে পদ্মা ও মেঘনা নামে দুটি বিভাগ করার কথা শোনা যাচ্ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিভাগ দুটি করার বিষয়ে জানিয়েছিলেন, তবে সেটা মৌখিকভাবে। বিভাগ দুটি হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে কিছুটা হলেও গতি পেত। তবে সেই পরিকল্পনা থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসলো সরকার। দেশে রিজার্ভ সংকটের কারণে সিদ্ধান্ত বদলালো সরকার। বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্গঠন সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়নি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, সরকারের খরচ কমানোর নীতির কারণে নতুন দপ্তরের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নতুন বিভাগ করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হবে।
সরকারের দুই মন্ত্রীর কথায় তা উঠে এসেছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু আমরা খরচ কমানোর নীতি গ্রহণ করেছি, তাই এখন নতুন দুটি বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে না।
নিকার সদস্য ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ নামে নতুন বিভাগ করার দুটি প্রস্তাব স্থগিত রাখা হয়েছে। এটা এখন একটি অগ্রাধিকারমূলক বিষয় নয়, কারণ এখন সারা বিশ্বে সংকট চলছে। এখন প্রতিটি বিভাগ করতে গেলে ১০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। তাই এখন তা স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর আগে ২ জুন বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু পরে সেই বৈঠক স্থগিত করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর ও ৭ ডিসেম্বর দুটি নতুন বিভাগ হবে এমন কথা জানিয়ে দেন। কুমিল্লার নাম বদল করে মেঘনা নদীর নামে নামকরণ করার কথা বলেন এবং পদ্মা নদীর নাম অনুসারে ফরিদপুরের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।