ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা এবং ঢাকা ৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় প্রথমে তাকে হাইকোর্ট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও পরবর্তীতে সেটা কমিয়ে ১০ বছর করে দেয় আদালত। এদিকে হাজী সেলিমের আইনজীবী বেশ কয়েকবার জামিন আবেদন করলেও তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। তবে এবার সুখবর পেলেন হাজী সেলিম।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিপরীতে সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সেলিমকে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে হাজী সেলিমের আবেদনের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালবাগ থানায় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২৭ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে, এই মামলায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিম ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি সাজা বাতিল করেন। পরে দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট। রায় বাতিল করে পুনরায় বিচারের আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৯ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন।
গত ২২ মে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তিনি আত্মসমর্পণ করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
হাজী সেলিমের একের পর এক দুর্নীতির কারণে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। সেলিমের ছেলে গ্রেফতার হওয়ার সেলিমকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রেফতার করে। তাদের পরিবারের এমন ধরনের দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসলে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়।