বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রবীন ও বর্ষীয়ান নেতা এবং দলের উপদেষ্টা পরিষদের মেম্বর জয়নাল আবেদীন হাজারী ইন্তেকাল করেছেন। তার প্রয়ানে তার পরিবারের সদস্য এবং শুভাকাঙ্খিরা তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া চেয়েছেন। জয়নাল আবেদীন হাজারী ছিলেন ফেনী জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রয়ানে দলের নেতাকর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।
পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করা, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, তাদের মধ্যে ফেনীর জয়নাল হাজারী অন্যতম। হয়তো তার পদ্ধতি এবং প্রকাশ সবক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, কিন্তু এভাবেই তিনি ফেনীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ফেনীতে একটি হাজারী রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।
জয়নাল আবেদীন হাজারী আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং ফেনী-২ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হন।
তিনি ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে দলের জন্য কাজ করেন। ১৯৬০ সালের শেষ দিকে হাজারী ফেনী কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ভিন্ন নীতিতে রাজনীতি করতেন। তিনি সাহসিকতার সাথে নেতৃত্ব দিতেন। ২০০১ সালের আগস্টে তিনি নিজেকে আড়াল করার জন্য দেশের বাইরে চলে যান। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে আত্মসমর্পন করেন এবং পরে জামিন লাভ করেন।