গত বছর খানেক আগেই মহামারী সংক্রমণের ছোবলে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন দাদা। আর এরপর থেকেই বৌদি এবং ভাইপোর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই পরিশেষে কষ্ট ঘোচাতে শেষমেষ ভাবীকেই বিয়ে করে রীতিমতো এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক যুবক। সম্প্রতি ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কটকের রাগাড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
অরুণকুমার বারিক নামে ওই যুবকের ভূমিকার সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। পরিবারের সম্মতিতে বৌদিকে বিয়ে করেন অরুণ। ৭ বছর আগে বৈদিক রীতি মেনে অরুণের দাদা বিজয়ের সঙ্গে লিলির বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২ বছর আগে সুখ সংসারের ছন্দপতন ঘটে। অরুণের দাদা বিজয় মারা যান। এরপর থেকে লিলি তার ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
লিলিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হননি। অবশেষে ভাইপোর কথা ভেবে অরুণ বৌদিকে বিয়ে করেন। এ সিদ্ধান্তে খুশি বারিক পরিবার।
এদিকে এ বিষয়ে ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেশটির এক সংবাদ মাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, তার দাদা চলে যাওয়ার পর ভাবি ও তার ভাইপোর অনেক কষ্টে দিন কাটছিল, এ সময়ে তাদের পাশে একজন কাউকে প্রয়োজন ছিল। সেহেতু পরিবারের মতামত নিয়ে নিজ ভাবিকেই বিয়ে করেন তিনি।