রাজধানী ঢাকার উত্তরা ইপিজেডের পরচুলা চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সুমি চৌধুরী নামে কথিত এক এসপি। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে এভারগ্রীণ নামের একটি পরচুলা কোম্পানিতে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকাজুড়ে সুমিকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সুমি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। সে তাঁর ফেসবুক আইডিতে এসপি পদবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ব্যবহার করেছে।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরচুলা চুরির সাথে জড়িত সুমি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের নজরদারিতে ছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারগ্রিন কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে তল্লাশি করে প্রায় ৩ কেজি ও ২০০ গ্রাম উন্নতমানের পরচুলাসহ আটক করে। যার বাজার মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে নীলফামারী সদর থানায় সুমির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কথিত এসপি সুমির এলাকায় খানসামায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কারণ এই ঘটনার আগে সুমির জীবনযাপন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তার জীবনধারা এবং পরিবার ব্যবস্থাপনা ছিল বিলাসবহুল। স্থানীয়রা জানায়, গত ৩-৪ বছর ধরে তিনি এ অপকর্ম করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুক্তারুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চুরির অভিযোগের আলোকে সুমিকে গ্রেপ্তারের পর বিকালে আদালতে পাঠানো হয়।