চলতি বছরের ২০ মে মালামাল নিয়ে পরীমনির বাড়ি থেকে বের হন রাজ। তখন থেকেই তাদের আলাদা দিন শুরু হয়। এরপর গত ২৯ মে মধ্যরাতে রাজের ফেসবুক থেকে তিশা, তুশি ও সুনেরার সঙ্গে কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হয়। তখন থেকেই সম্পর্কের তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়। মাঝে মাঝে দুজনকে একসাথে দেখা যায় কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য! আজ ডিভোর্স পর্যন্ত তাদের দূরত্ব বেড়েছে!
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পরীমনি রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। হয়তো শিগগিরই তা কার্যকর হবে।
একটু পেছনে দেখা যাক, ‘দামাল’ সিনেমার মুক্তির সময় মীমের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন পরীমনি। এরপর থেকে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। চলতি বছরের মে মাসে তা আরও তীব্র হয়। কয়েক মাস পর পরী জানান, রাজের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। পরী বলেন, আমার সঙ্গে এখন তার কোনো শারীরিক বা মানসিক আসক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরী। আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম, রাজ বাড়িতে তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’
এ সময় পরীকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কি ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন? পরীর উত্তর, ‘সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমি শরিফুল রাজকে আমার জামাই হিসেবে কল্পনাও করতে চাই না। একবার একজন মানুষ চলে গেলে, আপনি আর ধরে রাখতে পারবেন না। রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠাক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার ভালো লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’
রাজ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর পরীর কাছে জানতে চাওয়া হয় রাজ জোসি সন্তানের দিকে তাকিয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে গ্রহণ করবেন না? পরী সাফ জানিয়ে দেন, যে স্ত্রী ও বাচ্চার মায়ের চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক কথা বলতে পারে তার আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।
কিন্তু রাজ ফিরে আসেন। এটা সন্তানের টানেই। সে ফিরে আসতে বেশি সময় লাগেনি। এখন তারা চিরতরে আলাদা!
২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের পর জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২২ জানুয়ারি শরিফুল রাজ ও পরীমনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অতিথি তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের আত্মীয়।