দীর্ঘদিন প্রেমের পর অনেকটা নিজেদের মতো করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মাহিমা খানম মুলান ও জুবায়ের হোসেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই তাদের। এরই মধ্যে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স লেটার পেয়ে আ’ত্ম”হন’ন’ করেছেন ওই গৃহ’বধূ। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের ‘ডোপ প্রোডাকশনস’ নামের একটি অফিসে এসে ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে পেটে আঘাত করে মাহিমা (২০) আ”’ত্ম’হ”ত্যা’ করেন। এই অফিসে তার স্বামী জুবা’য়ের হোসেন কাজ করেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহিমা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোজাফফল হোসেনের মেয়ে মো.
নিহতের স্বামী জুবায়ের হোসেন জানান, গত মে মাসে প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়। মহিমা ছিলেন গৃহিণী। উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল রোডে তাদের নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কারণে এক মাস আগে পূর্বাচলে বাসা ছেড়ে যায় জুবায়ের। এরপর থেকে ওই বাড়িতে একাই ছিলেন মহিমা।
জুবায়ের আরও জানান, পারিবারিক কলহের কারণে গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি মাহিমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। এরপর মহিমা তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতে থাকে। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গুলশান-১ নিকেতনের দুই নম্বর রোডে ‘ডোপ প্রোডাকশন’ নামে তার অফিসে যান মহিমা। ওই প্রোডাকশন হাউসের সহকারী পরিচালক জুবায়ের।
তিনি বলেন, আমি অফিসে না থাকায় মহিমা আমাকে ফোন করে অফিসে আসতে বলে। অফিসে যাব না বলে জানালে মহিমা অফিসের ভেতরে ভাঙা” কাঁ’চের ”বোত’ল’ দিয়ে ‘তার পে’টে আ’ঘা’ত করে। পরে অফিসের সহকর্মীরা মুঠো’ফোনে বিষয়টি জানালে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃ’ত ঘোষণা’ করেন।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি খুতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছন তিনি।