হবিগঞ্জে যুবদল নেতার চিকিৎসা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁ/ড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে মেঝেতে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা মধ্যযুগীয় ব/র্বরতাকেও হার মানায়।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বা চিকিৎসা সাংবিধানিক অধিকার। সারা বিশ্বে চিকিৎসা সেবা একটি পবিত্র কাজের অংশ। এমনকি সবচেয়ে কু/খ্যাত আসামিদের চিকিৎসার জন্য বিশ্বজুড়ে অসংখ্য নজির রয়েছে। কিন্তু অনেক নিরপরাধ রাজবন্দী আজ এমন ন্যূনতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি জানান, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ তিন মাস কারাগারে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে অত্যন্ত অমানবিকভাবে রাখা হয়।
ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এর আগে যশোর যুবদল নেতা ও শিক্ষক আমানুর রহমান মধু এবং নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ওরফে সুমন চৌধুরীকেও হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার নামে মেঝেতে ফেলে প্রহসন করা হয়। যেখানে সম্পূর্ণ বিশ্রাম হার্ট অ্যাটাক রোগীর চিকিৎসার অংশ, সেখানে এই ধরনের রোগীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি হাঁটিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে মধ্যযুগীয় ব/র্বরতা বা নাৎসি বর্বরতাকেও হার মানায়।
বিএনপির এই নেতা এক বিবৃতিতে বলেন, এখানে উল্লেখ্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে হৃদরোগ ও অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত এই রাজবন্দিদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করেই আবার কারাগারে পাঠানো হয়, ফলে তাদের আবারও ভর্তি হতে হয়। একই ধরনের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে যান বা মৃ/ত্যুর মুখোমুখি হন। তিনি এ ধরনের অমানবিক, নৃ/শংস ব/র্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানান একই সঙ্গে ডা. রফিকুল ইসলামের।