ছাত্রলীগ নেত্রী শেখ সুমাইয়া সুমু (২০) তার বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করে রাতে বাসায় ফেরেন। তারপর নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর মধ্যরাতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহ’ত্যা করেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নদীয়া পৌরসভার বৈশাখীপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শেখ সুমাইয়া সুমু শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখীপাড়া গ্রামের আবু বকর শেখের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ছিল শেখ সুমাইয়ার জন্মদিন। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটে রাতে বাড়ি ফিরে রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে যান তিনি। মধ্যরাতের পর থেকে সুমাইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিক কল আসতে থাকে। বাড়ির লোকজন দরজার বাইরে থেকে সুমাইয়াকে ডাক দিলেও সে দরজা না খুললে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওড়না পেঁচানো ফ্যানের সঙ্গে সুমাইয়ার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার পরিবারের ডাক শুনে প্রতিবেশীরা এসে থানায় খবর দিলে তারা এসে সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে।
সুমাইয়ার চাচা ও স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ আবু জাফর বলেন, রাতে সুমাইয়ার বাসা থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত তার বাসায় ছুটে যাই। তার রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে আমরা সবাই মিলে দরজা ভেঙে ফেলি। পরে দেখি সুমাইয়া ঝুলছে। আমার ধারণা প্রেমের কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে শেখ সুমাইয়া সুমুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের কোনো অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।