অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনা ছেড়ে ডাক্তার মুরাদ হাসান ফিরলেন নিজ দেশে। ঠাঁই মেলেনি অন্য কোন দেশে শেষমেষ নিজ দেশেই ফিরতে হলো তাকে। তবে নিজ দেশেও ঢুকতে পারবেন কিনা সে নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। তুমুল বিতর্ক এবং আন্দোলনের মাথায় পা দিয়েছেন বিমান বন্দরে। অনেকটা আগুনে ঝাপ দেওয়ার মত।
কানাডা ও দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে শেষমেশ রোববার বিকেলে দেশেই ফিরেছেন সদ্যবিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।
দুবাই থেকে ৪ ঘণ্টা ২১ মিনিটের যাত্রা শেষে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের নির্ধারিত সময় এদিন বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট হলেও ৫টা ৭ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছায়।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ডা. মুরাদ দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ( ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশে আসেননি।
নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
পরে বাংলাদেশে নারীদের হয়রানি, অপমান এবং নির্যাতনের কারণে তাকে ইমিগ্রেশন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদ এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন মুরাদ হাসান। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে আগে থেকে ভিসা না নেয়ায় তাকে দুবাইয়ও ঢুকতে দেয়নি দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
নিজ দেশে ঠিকই ফিরেছেন কিন্তু কোথায় থাকবেন সে ব্যাপারে রয়েছে এখনও জনতার কৌতুহল। বিক্ষুব্ধ জনতার মাঝ থেকে কি তিনি আদৌ বের হতে পারবেন! নাকি বিমানবন্দর থেকেই পাড়ি জমাতে হবে আবার অন্য কোন দেশে। যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আইনের কোনো ব্যবস্থা তাকে আটকে দেয় কিনা। এসব প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা পরবর্তী কি হয়।