Sunday , November 10 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শেখ হাসিনা ও রেহানাকে বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া সেই রাষ্ট্রদুতের পরিবার ঢাকার আদালতে

শেখ হাসিনা ও রেহানাকে বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া সেই রাষ্ট্রদুতের পরিবার ঢাকার আদালতে

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। দেশের যখন স্বাধীনতা অর্জন হয়ে গেল তখনই তাকে সরিয়ে দেয়া হলো দুনিয়া থেকে। আর সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ছিলেন দেশের বাইরে। এবার জানা গেল সে সময়ে ঘটে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যেকর তথ্যর খবর।

বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যা’র পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়ামে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর ঢাকার জেলা জজ আদালতে ধরা পড়ে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের পরিবারের প্রতারণা।

বেলজিয়ামের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ইতিহাসের এই চরম সত্য বারবার উঠে এসেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে। ওই ঘটনার ৪৭ বছর পর নাম পরিবর্তন করে সানাউল হকের পরিবারের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে ঢাকার আদালতে। বাড়ি বিক্রির জন্য বাবার নাম পরিবর্তন করা হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮-এর অধীনে সানাউল হকের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী ইরতেফা মামুনের দেহ ও সম্পত্তির অভিভাবকত্ব চেয়ে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা করেন সানাউল হকের বোন ইতত মামুন। যেখানে সানাউল হকের নাম লেখা আছে প্রয়াত এ এম সানাউল হক।

সানাউল হকের পরিবার ২০১৫ সালে গুলশানের আরেকটি বাড়িও নিজেদের নামে বিক্রি করে দেয়। গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিচারক এসব নথি দেখে সানাউল হকের বিস্তারিত পরিচয় জানতে চান। শুরুতে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানালেও একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, এই সানাউল হকই তখন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত যিনি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম দূতাবাসের বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলেন।

মামলার নথি থেকে দেখা যায়, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িটিকে সানাউল হকের পরিবারের ৫ সদস্য দাবি করেন। তারা আইয়ুব খানের শাসনামলে গুলশান ও ধানমন্ডি দুটোই জমি পেয়েছিলেন। তবে এরই মধ্যে গুলশানের বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাম পরিবর্তন করে ধানমন্ডির বাড়ি বিক্রি করতে পারলে তারা পুরোপুরি দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দেয়ার সময়ে বেলজিয়ামের বাড়িতে ছিলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। সে সময়ে তাদের কদর সেখানে থাকলেও বাবা মরে যাওয়ার পরে বেলজিয়ামে আর ঠাই হয়নি এই দুই বোনের। তাদের দুজনকে বের করে দেয় খন্দকার মোশতাকের সহযোগী সানাউল হক। সানাউল হককে অত্যন্ত স্নেহ করতেন বঙ্গবন্ধু। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও তাকে রাষ্ট্রদূত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ।

About Rasel Khalifa

Check Also

ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *