Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / opinion / শেখ হাসিনা ও খালেদার মত হাই প্রোফাইল পলিটিশিয়ানদের মামলা চলাকালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল: সুলতান মির্জা

শেখ হাসিনা ও খালেদার মত হাই প্রোফাইল পলিটিশিয়ানদের মামলা চলাকালে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল: সুলতান মির্জা

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির দাবি গুলোর মধ্য অন্যতম দাবি হলো তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া। কিন_তু সেটা আটকে গেছে নানা আইনি জটিলতায়। এই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনাও শুরু হয়েছে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তার পোস=টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

অন্ন বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা এইসব অবশ্যই রাষ্টে বসবাসরত প্রতিটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তবে কোন ভাবেই বিদেশের অন্ন, বিদেশের বস্ত্র, বিদেশের বাসস্থান, বিদেশের চিকিৎসা রাষ্টে বসবাসরত কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার নয়। ইহা রাষ্টে বসবাসরত নাগরিকের সামর্থ্যের অধিকার, অবশ্যই আড়াই বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার সেই সামর্থ্যের অধিকার রয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে খালেদা জিয়া অবমুক্ত বা স্বাধীন কি না? বোঝাতে চাচ্ছি, খালেদা ফৌজদারী মামলার কোন আসামী বা সাজাপ্রাপ্ত আসামী কি না? যেখান থেকে খালেদার বিদেশে চিকিৎসার সামর্থ্যের প্রয়োগ কোন ভাবেই আইন মেনে নেওয়ার বিধান কার্যকর আছে কি না?

উত্তর যদি হয় হা রাষ্টের আইন বিধান কার্যকর আছে খালেদার বিদেশে চিকিৎস্যার ক্ষেত্রে। অর্থ্যাৎ সাজাপ্রাপ্ত আসামী কে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো মানেই সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে হাতের নাগালে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া ইত্যাদি বুঝায়৷

তারপরেও তর্কের খাতিরে, আড়াই বারের প্রধানমন্ত্রীর খাতিরে যদি এমন হয় যে আইনগত ভাবে নয়, নির্বাহী আদেশে একটা নতুন ট্রেন্ড তৈরি হলো সাজাপ্রাপ্ত আসামী চিকিৎসার নামে রাষ্টের সহযোগিতায় বিদেশে নির্ভিগ্নে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বা রাষ্ট ইচ্ছা করলেই সুযোগ হয়, তখন এই দেশে এখন ও আগামীতে এমন অনেক ক্ষমতাধর সাজাপ্রাপ্ত আসামী কারাগার থেকে এভাবেই জটিল চিকিৎসার কথা বলে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে, যা হবে আইনের শাসনের জন্য ভয়াবহ একটি বিপদ।

তবে কথা থাকে যে, ইতিপুর্বে যেহেতু একটা ট্রেন্ড আছে শেখ হাসিনা ও খালেদার মত হাই প্রোফাইল পলিটিশিয়ানদের মামলা চলমান অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিলো, সেটা যে নিছক চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ছিলো তা কিন্তু নয়, সেটা ছিলো রাজনৈতিক নির্বাসন, অর্থ্যাৎ কোন রকমে দেশ থেকে বের করে ঝামেলা মুক্ত হওয়া দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না আর ইত্যাদি।

যেহেতু বর্তমানে খালেদা সেই জায়গায় নাই, উল্লেখ্য যে খালেদার পরিবারের নজির আছে কোমর ভাংগার চিকিৎসা করাতে আদালত থেকে ৬ মাসের জামিন নিয়ে আজকে ১৫ বছর ধরে বিদেশে পালিয়ে আছে, ভিডিও চিত্র হাবিজাবিতে দেখা যায় ভাংগা কোমর ভালো হয়ে গেছে, বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র মুলক কথা কাজ করছে অথচ দেশে ফিরে আদালতের কাছে আত্মসমর্পন ভুলেই গেছে। এমন অবস্থায় একই পরিবারের ঐ পলাতক আসামীর মা আইনগত ভাবেই সংশোধন হাবিজাবি যেভাবেই ধরেন, আড়াই বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আদালত কিসের ভিত্তিতে বা গ্যারান্টিতে দিবে? হা সরকারের নির্বাহী বিভাগ ঝুকি নিতে পারতো যদি আগের আসামী ফিরে আসতো, যেহেতু আগের আসামী (তারেক) ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পন করেনি, সেহেতু নিশ্চিত ভাবে ধরে নেন নির্বাহী বিভাগ বা আদালত খালেদার বিষয়ে বিদেশে চিকিৎসার ঝুকি নিবে কেন?
আশা করি যারা খালেদার জন্য মানবতার ঢালা মেলে বসেছে, তারা উত্তর খানা দিবেন।
আইনের বিধি বিধান অন্য ষ্ট্যাটাসে আলোচনা হবে।

About bisso Jit

Check Also

বাঁধন নৌকার লোক বলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হইতো: পিনাকি

ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *