দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের সহায়তায় একের পর এক কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নেতৃত্বে দলের নেতারা অবৈধভাবে বিপুল অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন, ছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, এবং সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় সহিংসতায় অনেক প্রাণহানি ঘটে। সূত্রের দাবি, এ সময় ১,৪২৩ জন নিহত এবং ২২,০০০ এর বেশি মানুষ আহত হন। এর মধ্যে ৫৮৭ জন অঙ্গহানি এবং ৬৮৫ জন আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
দুই মাসব্যাপী আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এর পর অনেক আওয়ামী লীগ নেতা দেশত্যাগ করেন বা গ্রেপ্তার হন। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটির বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মামলাও রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নেটিজেনরা বলছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণহত্যার মতো অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। দ্রুত আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন তারা।
শবনম মুস্তারি নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন,‘শেখ হাসিনা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মহিলা’। ক্ষমতা হারানোর পর তার আচরণ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।”
মেহেদী হাসান সুমন লিখেছেন, “শেখ হাসিনার মধ্যে অনুশোচনার কোনো চিহ্ন নেই। তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।”
রেদুয়ান হোসাইন বলেছেন, “শেখ হাসিনার ফোনালাপই প্রমাণ করে যে, কতটা বিকৃত মনোভাব নিয়ে তিনি বারবার সত্যকে বিকৃত করেছেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই দেশের জন্য মঙ্গল।”
তীরহারা নদী নামের একজন মন্তব্য করেন, “আওয়ামী লীগের লজ্জাহীন রাজনীতি দেশের জন্য ক্ষতিকর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বহু প্রাণহানি হয়েছে, অথচ তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। তাকে অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।”