Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে বিপাকে ‘ধানের শীষের’ সাবেক এমপি

শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে বিপাকে ‘ধানের শীষের’ সাবেক এমপি

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর সাবেক এমপি শাহীনুর পাশা চৌধুরীর দলীয় সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নয়টি ইসলামী দলের নেতাদের নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ধর্মীয় দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর নেতা শাহিনুর পাশা চৌধুরী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজ দলেই শাস্তির মুখে পড়েন।

বৃহস্পতিবার বৈঠকে আলোচনার পরদিন শুক্রবার জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শাহীনুর পাশার দলীয় পদ থেকে বরখাস্তের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময় দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী দলের কোনো কোনো ব্যক্তিকে দলীয় সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানের বিপক্ষে আসতে প্ররোচিত করেছেন যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। যেহেতু দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী তার এসব আচরণ দ্বারা দলের নীতি-আদর্শ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাই তার প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত থাকবে।”

জমিয়ত সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম ইফেন্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তদন্ত করে বেশ কিছু ঘটনা পেয়েছি। তাই আপাতত সদস্যপদ স্থগিত করেছি। নির্বাহী সভায় আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

“প্রধানমন্ত্রীর সাথে আগের রাতে দেখা করাকে কি শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ বলা হয়?” তিনি বললেন, বিশেষ করে তা নয়।  সাম্প্রতিক সময়ে এ রকম আরও কিছু বিষয় আছে। আমরা তদন্ত করে তার কিছু প্রমাণও পেয়েছি।”

জমিয়ত এখন পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফেন্দি বলেন, এটা আমাদের দলীয় ব্যাপার। আমি আপাতত এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।

এর আগে সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন নয়টি ইসলামী দলের ১৪ নেতা। তাদের মধ্যে শাহীনুর পাশা চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে দুইবার বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন, ২০১৪ সালে ভোটও বর্জন করেছেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শাহিনুর পাশা ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।

১৯৯৯ সালে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসকেন্দ্রিক ইসলামী ঐক্যজোট যে মোর্চা গঠন করে, সেই ঐক্যজোটের একটি দল ছিল জমিয়ত।

পরে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামী ঐক্যজোট। তবে জমিয়তের একটি অংশ এখনো বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করছে।

শাহীনুর যে অংশের নেতা, সেই অংশটি ‘ইসলামী সমমনা দলসমূহ’ নামে একটি মোর্চার অংশ। এই মোর্চা ভোটে যাওয়ার বিপক্ষে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই মোর্চার কয়েকটি দলও ছিল।

তাহলে ভোট দেবেন না?- জমিয়ত সেক্রেটারি জেনারেল ইফেন্দী বলেন, আপাতত এটাই সিদ্ধান্ত।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *