বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, মামলা কেন অপরাধের নয়।বিএনপি শেখ হাসিনার শর্ত মানছে না বলেই আমাদের নেতারা কারাগারে। তার ভালো বা মন্দ উদাহরণ শাহজাহান ওমর সাহেব।
তিনি বলেন, একই মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে শাহজাহান ওমরকে কিনে নেওয়ায় তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। বিচারক তাকে আদালত থেকে জামিন দেন। তিনি হাইকোর্টে আসেননি। এতে আরও প্রমাণিত হয় যে, তারা যে মামলাগুলো করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আওয়ামী লীগের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক আনুষ্ঠানিকভাবে তা ফাঁস করেছেন।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন জনাব ওবায়দুল কাদের, আপনি কবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বিএনপির দালালকে কী বলবে জাতি অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, টিআইবি বলছে দুর্নীতি এখন চরমে উঠেছে। আর তাই টিআইবিকে বলা হয় বিএনপির দালাল। দখলদার আওয়ামী সরকার শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দুর্নীতি ছড়িয়ে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার মন্ত্রীর দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে হবে। যে দেশে একটি বালিশের দাম 27000, একটি বালিশের কভারের দাম 28000, একটি পর্দার দাম 33000 টাকা। করোনার সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। রেলওয়ে বিভাগে টাকার বিনিময়ের কথা অবশ্যই সবার মনে আছে। গভীর রাতে মন্ত্রীর এপিএস বাসভবনে ৭০ লাখ টাকার স্তুপ অর্থাৎ কালো বিড়ালের কথা কেউ ভোলেনি। এমন দুর্নীতি কেলেঙ্কারি পৃথিবীর কোথাও হয় না।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে অনেক নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বনেতার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. এই বক্তব্যকে বিজ্ঞাপন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে দক্ষ আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ‘গোয়েন্দাগিরি’ করছেন। ইউনূস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. পরিষ্কার হলেও বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির মতো। স্বাদহীন, আপত্তিকর ও বানোয়াট কথা বলার জন্য আওয়ামী মন্ত্রীদের পুরস্কৃত করা উচিত।