“সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হেয় করে সংবাদ পরিবেশন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কথা বলছে না। আপনারা যদি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশে না থাকেন, তাহলে বলবো শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত আওয়ামী পরিষদ থেকে ভিসি-প্রভোক ও প্রক্টর ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মন্নুজান হলের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশী। সেই লাইভে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটাই খবর দেখছি। সংবাদে এমন লাল-নীল-হলুদ রং দিয়ে সাংবাদিকতা করা উচিত নয়।ছাত্রলীগ নেত্রীদের হলে সাম্রাজ্য দ্বারা কী বুঝাচ্ছেন আপনারা? সাংবাদিকতা করেন, স্মার্ট সাংবাদিকতা করেন। ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগালেই আপনাদের নিউজ হিট।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শশী আরও বলেন, সাংবাদিকরা এখন আমাদের পেছনে যেভাবে লেগেছে হাঁটতেও ভয় হয়। ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করতেও ভয় লাগে তারা কখন বলে বসবে এই নেতার টাকার উৎস কোথায় । আরে ভাই আমার পরিবার আমাকে লিপস্টিক কেনার টাকা দিতে পারে তাই না। সাংবাদিকরা কখন কী নিউজ করে দেয় এ ভয়ে মানুষের সঙ্গে একটু জোরে কথা পর্যন্ত বলি না আমরা।
হলে যারা নেতৃত্ব দেন তারা একটু বাড়তি সুবিধা পান। যেখানে আমাদের দল শেখ হাসিনা সরকার এখনো ক্ষমতায় আছে। যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পায় এটাই স্বাভাবিক। আগে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পেয়েছে, শিবিরের নেতাকর্মীরা পেয়েছে।
লাইভে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ফারজানা শশী জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সাংবাদিকরা বাড়াবাড়ি করছেন। নিরপেক্ষভাবে সত্যটা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লাইভে আসি।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্নির বিরুদ্ধে অবৈধ দখলে থাকা আসন খালি করার নির্দেশ দিয়ে হলের গেটে তালা লাগানোর অভিযোগ ওঠে। এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে ঐশী নামের এক ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা এ নিয়ে সংবাদ তৈরি করলে শশী সাংবাদিকদের সঙ্গে লাইভে এসে এসব কথা বলেন।