আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়ছেন ৫ প্রার্থী।
তারা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর (একতার), জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোঃ সহিদুল ইসলাম মিতু (ডুব), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম (আম) ও সৈয়দা লিমা হাসান (মাছ)। গণফ্রন্ট পার্টির।
গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্য ৫ প্রার্থী বা তাদের নেতাকর্মীদের এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি এসব প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার বা ফেস্টুনও দেখা যায়নি।
গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে অষ্টমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি এ আসন থেকে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তাদের কেউই জামিন ফেরত পায়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা। তবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন তারা।
জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাহাবুর মোল্লা ও গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব।
কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে তাদের কেউ জামিন নিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি। আশা করি এবারও আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ জন প্রার্থী তাদের জামানত নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, আমরা এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। অন্যান্য দলের যারা প্রার্থী নির্বাচন করছেন তাদের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যান। এ কারণে আমাদের কোনো নেতাকর্মী অন্য প্রার্থীর প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ওই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনসহ সারা বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি আমাদের কাছে কিছুই চাননি। এখন আমাদের সময় তাকে কিছু দেওয়ার। আগামী ৭ জানুয়ারি আমরা সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেব।