রাজনীতি এমন একটি বিষয় যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের দোষ তুলে ধরে পরস্পর দলের সমালোচনা করে থাকে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে থাকে বিরোধী দল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে বিএনপি নেতাকে পদ্মা নদীতে সেতুর ওপর থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথা নিয়ে বিএনপি সমালোচনা করে। এবার সেই বিষয় তুলে ধরে পাল্টাভাবে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার কথা বললেন বিএনপির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ সরকারের লুটেরা এমপি-মন্ত্রীদের পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেবে দেশের মানুষ। এরপর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার এক প্রতিবাদ সমাবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে এমনটি বক্তব্য দেন নিপুন।
তিনি বলেন, “সরকার ও তার মন্ত্রী-এমপিরা লু”টপাট করার মাধ্যমে ও বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে। এর মাধ্যমে তারা জনগণকে এর মাধ্যমে তারা জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার জনগণকে শান্তি ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে, যার প্রমাণ সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও দেশের বিচার বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আপনাদের এমপি-মন্ত্রীদের পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবে। এরপর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের জন্য তৈরি হোন।
আওয়ামী লীগ জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, এই সেতু ভেঙে পড়বে- এমন বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি খালেদা জিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৮ মে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় আলোচনায় সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, স্প্যানগুলো যে বসাচ্ছে, সেটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেয়া। পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, তাতে চড়া যাবে না, চড়লে সেটা ভেঙে যাবে। তার সঙ্গে তার কয়েকজন দোসররা। তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে সেখান থেকে পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিৎ।
বিভিন্ন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু বিরোধীদের নিয়েও কথা বলেন।
এদিকে বিএনপির বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কিন্তু সরকার তা দূর করতে পারছে না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি জনগণের কল্যাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখল করেছেন। এখন মানুষ যখন কষ্ট পাচ্ছে তখন আপনি কষ্ট দূর করতে পারছেন না। পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
অধিকাংশ মানুষই হালাল উপার্জন করে সংসার চালাতে পারছে না। যারা হারাম উপার্জন করে এবং এই সরকারের সুবিধাভোগী তারাই কেবল আরামদায় ক জীবন যাপন করছে। জনগণের দুর্ভোগ দূর করতে জনগণের সরকারী প্রতিনিধি প্রয়োজন।’
কোনোভাবেই ভোট দুর্নীতি হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে স্থায়ী সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি সরকার।
আর এই লুটেরা সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে এদেশ ধ্বং”সের দিকে পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না এবং নিরপেক্ষ কোন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। তারা ক্ষমতায় থেকে বারবার ভোট চুরির মত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ফের তারা ভোট চুরির পরিকল্পনা শুরু করেছে। এই ধরনের পরিকল্পনা তাদের বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে ন. কোনোভাবে এটা করতে দেয়া হবে না।