ব্রিটিশ লর্ডস ও এমপিরা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তারা।
বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্ক অত্যন্ত ঐতিহাসিক এবং পারস্পরিক সহযোগিতামূলক। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্রিটেন সফরের পরও সেই দৃঢ় সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের কমিটি রুমে ‘বঙ্গবন্ধু ও ব্রিটেন’ শীর্ষক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সাবেক ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ব্যারনেস ভার্মার সভাপতিত্বে। এতে ব্রিটেনের লর্ডসের প্রভাবশালী সদস্য ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রিটিশ লর্ডস ও সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।
ব্রিটিশ লর্ড ডেভিড ইভান্স বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আবারো নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।
তারা বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহি”ঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে রোহি”ঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও জানান তারা।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় সবাই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্কটিশ, লেবার এবং কনজারভেটিভ সবাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ লর্ডস পল বোটেং ও ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের চেয়ারম্যান রিচার্ড হলডেন এমপি ছাড়াও ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে বক্তব্য দেন আফজাল খান, টম হান্ট ও স্টিফেন টিমস।