ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নতুন অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এতে তার কণ্ঠস্বরের মতো একজন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা এবং ভবিষ্যতে বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের মতো শোনা যাচ্ছে একজন নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনালাপে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের “খুনি” আখ্যা দেন।
অডিওতে বলা হয়, “দেশে যে অরাজকতা চলছে তার বিচার ইনশাল্লাহ হবে। এদের বিচার আমি করবোই।” তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও ছাত্র আন্দোলনে সহিংস দমননীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে।
শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, “আমরা কোনো গুলি চালাইনি। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম কোনো মেটাল বুলেট ব্যবহার করবে না। কিন্তু এরপরও ছাত্রদের আন্দোলনকে আমার হত্যা করার ষড়যন্ত্রে পরিণত করা হলো।”
তিনি কোটাব্যবস্থার বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “কোটা আমি নিজেই বাতিল করেছি। তারপরও আন্দোলন করা হলো। টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।”
অডিওতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করে বলেন, “বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করেছে ইউনূস। তার যোগসাজশে জেল থেকে জঙ্গি মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
অডিও ফাঁসের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন করেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আদালত তখন জানতে চান, “শেখ হাসিনা কোথায়?”
এদিকে, শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সুইডেন আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক সভায় তিনি ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে উপস্থিত নেতাদের নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান।
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।