Friday , September 27 2024
Breaking News
Home / Countrywide / শেখ হাসিনার জন্য নিজামউদ্দিনের মাজারে দোয়া করালেন শামীম ওসমান!

শেখ হাসিনার জন্য নিজামউদ্দিনের মাজারে দোয়া করালেন শামীম ওসমান!

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাবেক এমপি শামীম ওসমান। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে শামীম ওসমানকে আর দেখা যায়নি। পালিয়ে বেরিয়েছেন এদিক সেদিক।

শামীম ওসমানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে হযরত নিজামুদ্দিনের মাজারে। নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন তিনি।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর নিজামুদ্দিন মাজারে মনিরুল হক নামে এক ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ধরা পড়েন শামীম ওসমান। চলতি মাসের শুরুতে তোলা ছবিটি গণমাধ্যমে দিয়েছেন আলোকচিত্রী ও প্রযোজক মনিরুল হক।

জানা গেছে, মাজারে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দোয়া করান শামীম ওসমান। ভিডিওর উর্দু ভাষার সেই দোয়া বাংলা করলে হয়, ‘শামীম ওসমান সাহেবকে সালাম পৌঁছানোর সামর্থ্য দাও। শেখ হাসিনা সাহেবাকে শানদার সাফল্য দান করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ভাগ্য দান করো।’

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার মনিরুল জানান, ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে নিজামুদ্দিনের দরগায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। এ সময় হঠাৎ বাংলাদেশ শব্দ শুনে তাকালে দেখেন এক ব্যক্তি বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করে দোয়া করছেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের ক্যামেরা চালু করে ভিডিও করা শুরু করেন তিনি। আর সেখানে শামীম ওসমানকে দেখে অবাক হন তিনি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সম্ভবত আরো তিনজন সদস্য ছিলেন। পরে তিনি শামীম ওসমানকে অনুসরণ করতে থাকেন। দরগাহের একপাশে থাকা খাবার জায়গায় শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের তবারক বিতরণ করতে দেখা যায়। এমনকি যিনি দোয়া পড়ছিলেন, তাকে টাকাও দেওয়া হয়।

এর আগে ৫ আগস্ট এক জনপ্রিয় অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী-এমপি-মন্ত্রী গোপনে দেশত্যাগ করেন।

About Nasimul Islam

Check Also

৪৬ দিন বন্দি ছিলাম, ইউনূস স্যার না থাকলে কারাগারেই জীবন শেষ হতো

“টানা ছয় দিন চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলাম, কোথায় আছি জানতাম না। কারো সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *