ওবায়দুল কাদের হলেন বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি নেতাকর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের দায়িত্বহীন কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতাকর্মীদের বলবো, কথাবার্তা ও আচরণে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। এ সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলা ঠিক নয়। ক্ষমতা দেখানো ঠিক নয়। ঠাণ্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষের জন্য কাজ করুন।
দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘুম হারাম’ হারাম হয়ে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে বাদ দিন। আজ কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে নেই আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা কষ্টে আছে, আমি শুধু এটুকুই বলব, চেষ্টার কোনো দোষ নেই।
‘শেখ হাসিনা আজ ঘুমাচ্ছেন না। তিনি আপনার জন্য এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। করোনার সময়েও রাতে ঘুমাতে পারেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এখনো ঘুমাতে দেওয়া হচ্ছে না। কিভাবে মানুষকে একটু স্বস্তি, স্বস্তি দেওয়া যায়। যারা কষ্ট পাচ্ছেন। আমাদের নেত্রী আজ সেটাই করছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশই সংকট ও সংকটে রয়েছে।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওরা পল্টন-প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল করছে। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তাদের মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছিল না। যখন মিছিল-মিটিং সম্ভব, তাদের সাহসের ডানা মেলে বিস্তারিত এখন তারা বলছে, বিদেশি শক্তির প্রভাব বাধা নেই। তাই এখন তিনি স্বীকার করেছেন যে পুলিশ তাকে বাধা দিচ্ছে না।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কোনো ক্ষমতার কাছে মাথা নত করি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাথা নত করার মানুষ নন। নিজের শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এগিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, দল বড় একটি জিনিস তাই দলের ভাবমূর্তি যাতে নেতাকর্মীদের কোনো কথায় বা কাজে ক্ষুন্ন না হয় সেইদিকে খেয়াল রেখে কাজ করে যাওটাই স্বার্থকতা। দলকে ভালোবেসে দলের জন্য কাজ করে যেতে হবে এমনটাই মনে করেন দলের প্রবীণ নেতারা।