বর্তমান ক্ষমতাসীন দল যখন বিরোধী দলে অবস্থান করছিলেন সেই সময়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যাওয়ার সময়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আক্রমনের শিকার হয়েছিলেন। এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খারাপ কাজের শিকার হয়ে তৎকালীন সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকালীন সময়ে শেখ হাসিনা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে স্থানী তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মাধ্যমে এই হামলার শিকার হয়েছিলেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অ// স্ত্র ও বি// স্ফোরক আইনের মামলার পঞ্চম দিনে সাক্ষ্য দেন ঢাকা মহানগর বিমানবন্দর থানার সহ-সভাপতি ফাতেমা জামান সাথী। ঘটনার দিন তিনি শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন। সোমবার (১ আগস্ট) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে চন্দনপুরের হিজলদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার ধ// র্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলার ইউনিয়ন। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে জেলা বিএনপির এক নেতা দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে সংকটের সৃষ্টি করে এবং তার কনভয়ে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাথীসহ সাংবাদিকরা আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না করায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আব্দুল কাদের বাচ্চু। মামলায় ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের মধ্যে, হাইকোর্ট ১৮ জুলাই, ২০১৩ নিম্ন আদালতে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা ১৫ অক্টোবর ২০১৪ কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটিকে একটি বিবৃতি হিসাবে বিবেচনা করার নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি অংশে বিভক্ত STC ২০৭/১৫, STC ২০৮/১৫ দুটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-II আদালতে বিচারাধীন। অন্য টিআর ১৫১/১৫ মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তালা-কালোয়ারের সাবেক বিএনপি সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এদিকে সাবু কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসামি মাহাফুজুর রহমানের প্রয়াণ হয়েছে এবং ৯ আসামি পলাতক রয়েছে। বাকি ৪০ জন আসামি কারাগারে। চলতি বছরের ১৬ জুন অ// স্ত্র ও বি// স্ফোরক আইনে আরও দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মুসলিম উদ্দিন। এ মামলায় কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। বাকিদের কেউ কেউ জামিনে বা কারাগারে।