আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে এক ইতিহাস। বিএনপির ডাকা সমাবেশে হয়তো সৃষ্টি হবে এই ইতিহাস। আর এই সমাবেশকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সারা দেশে তৈরী হয়েছে বেশ উত্তেজনা। এবার এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন বাংলাদেশের সাবেক সেনাকর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আমার এক নারী বন্ধু যিনি একজন সিংগেল মাদার, চাকুরী করে নিজের বাচ্চাদের সামলান আবার নিজের বৃদ্ধ বাবা মাকে সাথে রেখে তাদের দেখভাল করেন- তিনি বললেন ১০ই ডিসেম্বরের বিএনপির গন সমাবেশে যোগদান করবেন। তিনি তার সামর্থ অনুযায়ী কিছু শুকনো খাবার আর পানি নিয়ে যাবেন। এটুকু শুনেই তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা সহস্র গুণ বৃদ্ধি পেল। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন; এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থকও নন। তার বক্তব্য হচ্ছে আমি এই দেশের সকল ব্যাংক লুটেরা, দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা সহ প্রতিটি সরকারী বেসরকারী সংস্হাকে কলুষিত করা এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন চাই। আমার সন্তানদের একটি সুস্হ স্বাভাবিক পরিবেশে মানুষ করতে চাই।
আর এটা করতে হলে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার এখনই পতন ঘটাতে হবে। হাসিনাকে যদি পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হয় সে যে কোন ভাবে তার সকল কুকর্মের দোসর প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর নতুন কলাকৌশল বের করে ফেলবে।
আমার বান্ধবীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তার নাম প্রকাশ করলাম না। আমি তার একাগ্রতা, দেশপ্রেম এবং ডেডিকেশন দেখে মুগ্ধ।
দেশের প্রয়োজনে যুদ্ধে যাওয়া বা বর্তমান পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।আপনি বিএনপির রাজনীতির প্রতি বিশ্বাস নাও রাখতে পারেন কিন্তু এই অবস্থায় আমাদের আশা আকাংখা এবং লক্ষ্যের সাথে বিএনপির এই আন্দোলন মিলে গেছে তাই আমি বিএনপির এই চলমান আন্দোলন এবং গনসমাবেশেকে পূর্ণ সমর্থন করি।
আসুন আমরা আমাদের নিজেদের কমফোর্ট জোন থেকে বেড়িয়ে এসে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। আমি হয়ত স্বশরীরে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারবো না কিন্তু আমার আত্মা সেখানে হাজির থাকবে।
আমার দেশপ্রেমিক-সাহসী বান্ধবী সহ দেশে বিদেশে অবস্থানরত নাম না জানা হাজারো বিপ্লবীদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আর আপনারা যারা আমার এই এই লেখা পড়ছেন আমি আশা করছি আপনিও এই মহান কর্তব্যে স্বশরীরে হাজির থাকবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন বাংলাদেশের প্রতি সহায় হোন এবং এই সমস্যার একটি সহজ সমাধান দান করুন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে সমাবেশকে ঘিরে এখনই ঢাকামুখী হতে শুরু করেছে দেশের বিএনপি পন্থীরা। তারা সকলেই আগে থেকে দখল নিতে চায় সমাবেশ স্থল। শুধু বিএনপিপন্থীরাই নয় সারা দেশের সাধারণ মানুষদের মধ্যেও রয়েছে এ নিয়ে বেশ উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা।