বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান নাজুক অবস্থার জন্য অনেক সমালোচক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারলেও দলের কিছু স্বার্থান্বেষী নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করছে। যার কারণে পুরো দলকেই অনেক সাধারণ মানুষ দায়ী করছে। এদিকে এ বিষয় নিয়ে সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বাংলাদেশের ব্যাংকের উপরে আস্থাহীনতার দায় একমাত্র শেখ হাসিনার। কারণ হাসিনাই বলেছে, আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরায়ে দিছি। তার আমলে নাকি মানুষ ভোট দিতে পারে। এমন ডাহা মিথ্যা কথা যারা বলে তাদের কোন কথা কী মানুষের বিশ্বাস করা উচিৎ? না।
সেই কারণেই হাসিনার বাংলাদেশ ব্যাংক যখন বলে, গ্রাহকের আমানত বাংলাদেশের ব্যাংকে নিরাপদ। সেই বক্তব্যকে কোন মানুষই সত্য বলে ধরে নেবেনা। এমনকি আওয়ামী লীগারেরাও সত্য বলে ধরবে না।
এইটারে পোশাকি ভাষায় বলে হেজিমনি। মানে মানুষের চিন্তাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা। এইটা ছাড়া শাসন করা যায়না। হাসিনার মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাই নাই। হাসিনার লোকেরা যতই চিল্লাবে ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ, ততোই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে ব্যাংক থেকে সব আমানত তুলে ফেলার জন্য। এইটা থামাইতে পারবে ইলিয়াস বা কনক সারোয়ার। তাইলে ক্ষমতা কার কাছে? মানুষ কাকে বিশ্বাস করে?
প্রসংগত, সম্প্রতি একটি গুঞ্জন উঠেছে যে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা হারিয়ে যাচ্ছে, যার কারণে আমানতকারীরা একসময় টাকা নাও পেতে পারে এমন ভেবে তাদের টাকা উঠিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে এমনটি শ্রেফ একটি গুঞ্জন। অনেক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে, যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।