আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্রিম ভোট চেয়ে সবাইকে ওয়াদা করার অনুরোধ করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৪ নভেম্বর বিকেলে যশোরের জেলা স্টেডিয়ামের জনসমাবেশে রিজার্ভ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ভোট চেয়ে সবাইকে ওয়াদা করার অনুরোধ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুয়োগ দেবেন কিনা, আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন। এসময় উপস্থিত জনগণ হাত তুলে ওয়াদা করেন।
জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বিএনপি নিজেদের শুধু নিজেদের উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) কিছু দিতে পারে না, শুধু জনগণের রক্ত চুষে খেতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। সেবা করার সুযোগ চাই। নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট দিন এবং পাশে থাকুন। আমরা শান্তি চাই, অগ্রগতি চাই। দেশ সব জায়গায় এগিয়ে যাক, এটাই প্রত্যাশা। যতদিন বেঁচে থাকব দেশের জন্য কাজ করে যাবো।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাজ গুজব ছড়ানো। তাই গুজবে কান দেবেন না। আমাদের এখনও যথেষ্ট মজুদ আছে। যা ব্যয় হয়েছে তা মানুষের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,সারা পৃথিবীতে আজকে অর্থনৈতিক মন্দা। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা এখনো অর্থনীতিকে শক্ত অবস্থানে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমি দেখছি, কেউ কেউ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলছেন। রিজার্ভ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। অনেকে বলেন ব্যাংকে টাকা নেই, কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা নিয়ে যাবে। চোরদের সুযোগ দিচ্ছে। ব্যাংকে টাকা নেই এটা মিথ্যা। গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, প্রতিটি ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে।
সরকারপ্রধান বলেন, যারা রিজার্ভ কোথায় গেল জানতে চান, তাদের বলছি রিজার্ভ কোথাও যায়নি। এটা মানুষের জন্য ব্যায় হয়েছে। যুদ্ধের পর থেকে সবকিছুর দাম বেড়েছে। তারপরও আমরা আমদানি করছি, আমদানি করছি; যাতে দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব না হয়। কাউকে কোনো ধরনের সমস্যায় যেন পড়তে না হয়। তাই দেশের সব মানুষকে বলেছি, কোনো জমি যেন খালি রাখা না হয়। যদি সম্ভব হয়, একটি গোলমরিচ গাছ লাগান, একটি টমেটো গাছ লাগান। এটা আমাদের সবার উপকারে আসবে।
টানা কয়েকবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশ ও দেশের মানুষের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করছেন দেশের জনগণ। আর এই ধারা যেন আগামীতেও অব্যহত থাকে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।