ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী এবং এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সম্মানীয় পদগুলোতে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব নির্বাহ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন এই কষ্ট সাময়িক, দুর্দিন চলে যাবে।
বর্তমান সংকট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অপরাধী নই, অপরাধীও নই। আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য আমরা দিতেছি। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হবে। রাত জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হয়। ধৈর্য ধারণ করবেন না, ঈশ্বরের ইচ্ছা, এই দিন স্থায়ী হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বাবার শোক, কন্যার শক্তি: বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের কষ্ট বোঝেন। সরকার প্রধান হিসেবে তিনি খোলাখুলি বলেছেন, ‘জনগণ কষ্ট পাচ্ছে’। এই দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এই ব্যথা সাময়িক, এই ব্যথা কেটে যাবে। সুদিন আবার আসবে।
তিনি আরও বলেন, ১৩ বছর কত শুনলাম, রোজার ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত জল বয়ে যায়। কিন্তু, ফখরুল সাহেবের কাঙ্খিত আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি তো দূরের কথা।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন কবে? ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দিন আগে দেখলাম বেগম জিয়ার জন্মদিনে কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। তবে ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু দোয়া অনুষ্ঠানের উপলক্ষ কি? উপলক্ষ খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনো ভুয়া জন্মদিন পালন করছেন। একজন ব্যক্তির কত জন্মদিন? সর্বশেষ করোনা পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ষষ্ঠ জন্মদিন পাওয়া গেছে। আর কতদিন তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাথে এই তামাশা করবেন?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের কষ্টের কথা জানিয়ে কী করবেন? আল্লাহ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবান. আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তি সংগ্রামের আপোষহীন চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের সেতু ও সড়ক পরিবহণ হবার পরে দেশে সড়ক ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। দেশের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে বড় বড় স্থাপনা যার মধ্যে পদ্মা সেতু অন্যতম একটি। বাংলার মানুষের স্বপ্ন ছিলো পদ্মা সেতু। সেই পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান।