মাহবুব-উল-আলম হানিফ যিনি আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, তিনি ২১শে আগস্ট যে গ্রে”/নেড হা”মলা হয়েছিল সে বিষয়ে তুলে ধরে বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। এদিন যেটা দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছিল সেটা অন্যতম ঘৃণ্য এবং বর্ব’র ঘটনা। ৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যে নৃ’/শং”স হ’/’ত্যাকাণ্ড চালানো হয় তারপরে এটি সবচেয়ে বড় কলঙ্কময় দিন। এটা সুপরিকল্পিত ভাবে বিএনপি সরকারের আমলে করা হয়েছিল। এর সাথে জড়িত ছিল বিএনপির কয়েক নেতা যারা জ/”ঙ্গিদের সাথে আতাত করে এটা ঘটিয়েছিল।
বুধবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তারেক জিয়াকে লন্ডনে বসে ফে’সবুকে বলতে দেখেছি, ২১শে আগস্টের ঘটনা আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। তিনি থিওরি দিলেন কি! সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে। শুরু হওয়ার মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে কেন সেটি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নেওয়া হলো। মুক্তাঙ্গনে নাকি ইঞ্চি-ইঞ্চি জায়গার নিরাপত্তা ছিল। কি রকম মশকরা, মিথ্যাচার। এ তারেক রহমান একজন মিথ্যাবাদী, কুলাঙ্গার, নির্লজ্জ। ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার থাকলে এ ধরণের মিথ্যাচার করা সম্ভব না।
হানিফ বলেন, ২১শে আগস্টের মতো ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছে বলে মনে হয় না। সেদিন দেখলাম মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অনেক নেতা ঘটনাকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন। অবাক হতে হয়। আমি মনে করি, ২১শে আগস্টের ঘটনার পর তারা রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
আইভি রহমানের কথা স্মরণ করে হানিফ বলেন, আইভি রহমানকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। সেটা ছিল একটি বী’ভ’/ৎস, বিভী”/ষিকাময় দৃশ্য। এই হা”মলা করেছে বিএনপি-জামায়াত। হা”মলার পরপরই আমাদের ওপর লাঠিচার্জ, হা”মলা শুরু হয়। যাতে বো’/মারুরা নির্বিচারে চলে যেতে পারে। সিটি করপোরেশনের একটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে এনে চিহ্ন পরিষ্কার করার জন্য পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে।
২১ আগস্টের কথা মনে করিয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, সেদিন একটি গ্রে”নেড বিস্ফোরিত হয়নি। আমাদের তৎকালীন নেতা আব্দুল জলিল মামলা করতে গিয়েছিলেন। এ থানা-ও থানায় উনাকে ঘুরিয়ে মামলা নেয়নি। পুলিশ সেদিন বলেছিল উপরের নির্দেশ নেই। পরে, একটি সাধারণ ডায়েরি নিয়েছিল।
আওয়ামী নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ওই সময় সংসদে এমন জঘন্য হ”/ত্যাকাণ্ড নিয়ে মশকারি করেছিলেন। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে মারতে যাবে! তিনি নিজেই একটি ব্যাগে বো’/মাটি ঘটনাস্থলে নিয়ে যান। বিদ্রুপ এখানেই শেষ নয়। জনগণের চাপে এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ঘটনার সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র জড়িত। দায় এড়াতে কী হাস্যকর বক্তব্য!
এরপর আসামিকে গ্রেফতার করে সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। এর একমাত্র কারণ বিএনপি হ”/ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং তারা দায় এড়াতে চায়।
হানিফ আরও বলেন, ২১শে আগস্টের ঘটনা একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা। হাওয়া ভবনে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, মুফতি হান্নানসহ জ/”ঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারেক জিয়া। মুফতি হান্নানের ভাই মাওলানা তাইজউদ্দিন পাকিস্তান থেকে অ্যাস”ল্ট গ্রে’/নেড এনেছিলেন। জ্বালানিবিহীন একটি দেশে এই বো’/মা কিভাবে আনলো সরকার!
এই হাম”লার মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দমন করা। যাতে বিএনপির আমলে লু’টপাটের কোনো জবাবদিহিতা না থাকে। মির্জা ফখরুল ছিলেন একজন শিক্ষক। উচ্চ শিক্ষিত লোক কিভাবে বিএনপির মত দলের রাজনীতি করেন, আমার বুঝে আসে না।
বিএনপির শাসনামলে ২৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হ’/’ত্যা করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের গণহ”/ত্যা এবং ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হ’/ত্যা দুটোই একই সূত্রে গাঁথা। ৭১ সালের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে বিএনপিকেও রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
উল্লেখ্য, একুশে আগস্ট আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর যে ভ/”য়াবহ গ্রে’/নে’ড হাম”লা চালানো হয় সেটার পরিকল্পনা ছিল আ.লীগের প্রধান নেতাদের চিরতরে নিথর করে দেওয়া। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আ.লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে তিনি ভাগ্যক্রমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। তার সাথে থাকা অনেক নেতাকর্মী প্রয়াত হন এবং অনেকে এখনও স্প্লি”/ন্টারের অসহনীয় বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছেন।