২০২৫ শিক্ষাবর্ষের সংশোধিত পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে গত বছরের বেশ কিছু গল্প ও কবিতা। এর বদলে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গসহ কিছু নতুন লেখা।
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনা। সেই সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধ। তবে বই থেকে বাদ পড়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা।
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সংযোজিত গদ্য ‘আমাদের নতুন গৌরবগাথা’তে তুলে ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের বিবরণ। এতে গণভবন দখল, শেখ হাসিনার দেশত্যাগ, এবং আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। লেখাটিতে বলা হয়েছে:
“সেদিন ৫ই আগস্ট ২০২৪, ৩৬শে জুলাই। বাংলাদেশের ক্যালেন্ডার জুলাইতে থেমে গেছে… জনতা গণভবনে পৌঁছে যায় দুপুর নাগাদ। পতন অত্যাসন্ন টের পেয়ে স্বৈরাচার সরকারপ্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।”
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’, জহির রায়হানের ‘বাঁধ’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’, এবং কামাল চৌধুরীর ‘সাহসী জননীর কথা’।
এর বদলে সংযোজিত হয়েছে ‘একুশের গল্প’ এবং নতুন গদ্য ‘আমাদের গৌরবগাথা’।
নতুন পাঠ্যবইয়ে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দেওয়া এবং শেখ হাসিনার দেশত্যাগসহ অভ্যুত্থানের বিবরণ সংযোজন শিক্ষাবিদ ও সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো বাদ দিয়ে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি যুক্ত করায় বইটির বিষয়বস্তু নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।