শুয়ে পড় বলেই জামা খুলতে শুরু করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক, ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত ঘটনা

আট বছরের এক মেয়েকে খারাপ কাজ করার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একটি শুন্য ঘড়ে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এমনই একটা অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত এখলাছুর রহমানের নামে। অভিযুক্ত এখলাছুর রহমান একজন মাদ্রাসার শিক্ষক এমনটাই জানা গেছে স্থানীয় তথ্যের মাধ্যমে। তবে তিনি ঘটনা জানা জানি হওয়ার পর থেকেই পালাতক রয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়।

মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আট বছরের এক মেয়ে সন্তানকে খারাপ কাজের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। রোববার দুপুরে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিযুক্তের নাম এখলাছুর রহমান। তিনি গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের পোস্ট অফিস এলাকার একরামুল ইসলামের ছেলে। তবে তিনি পলাতক। স্বজনদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য মোহন আলী জানান, এখলাচুর গতকাল ঘটনার দিন সকালে শিশুটিকে কাঁঠাল খাওয়ানোর জন্য একটি নির্জন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে শুয়ে পড় বলে জামা-কাপড় খোলার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এ সময় শিশুটির চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে এখলাছুর পালিয়ে যায়। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে এখলাছুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, অপ্রাপ্ত মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক এমনই একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা নিজেই। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী এলাকা থেকে পালাতক রয়েছে। তাকে ধরতে প্রশাসনির তৎপরতা অভ্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তাকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।