৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বিপাকে পড়েছেন। শুল্ক ও কাস্টমসের শর্তাবলী পূরণ না করায় তার বিলাসবহুল গাড়ি, যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা, নিলামে তুলতে যাচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ মাসের মধ্যেই এই নিলামের তারিখ চূড়ান্ত হবে।
অন্যদিকে, অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি আগাম আঁচ করতে পেরে গত জুলাই মাসেই শুল্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে নিজের বিলাসবহুল গাড়ি ছাড় করিয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার এই ধরনের বিলাসবহুল গাড়ির বাজারমূল্য ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা এবং এর ওপর ৮৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতেন। সংসদ না থাকায় এখন তারা এই সুবিধা আর পাচ্ছেন না।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুব চৌধুরী জানিয়েছেন, আমদানি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস না নিলে কাস্টমস তা নিলামে তোলে। চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আমদানি পণ্য নামার ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না করলে কাস্টমস পণ্যটি নিলাম শাখায় প্রেরণ করে। এর পর ১৫ দিনের মধ্যে খালাস না হলে সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিলামে তুলে দেওয়া হয়।
বৈপ্লবিক পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ব্যারিস্টার সুমন আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে গাড়ি ছাড় করায় এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।