বাংলা রুপালী জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অভিনয়ের পাশাপাশি তার রুপের জালে রীতিমতো বন্দি হয়ে রয়েছেন কোটি কোটি ভক্ত। তবে এদিকে এবার জানা গেল, নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন গুণী এই অভিনেত্রী।
গত ২৭ মে তিনি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। তবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তিনি এ খবর প্রকাশ করেন। তার নতুন বরের নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পূর্ণিমার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে শোবিজ জগতের মানুষও সমানভাবে উচ্ছ্বসিত। ইন্টারনেটে অভিনেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে।
কেউ কেউ জানতে আগ্রহী যে কবে পূর্ণিমার প্রাক্তন স্বামী ফাহাদের থেকে ডিভোর্স হয়েছে? আর কী কারণে এক যুগের সম্পর্কের ইতি টানলেন তারা।
এ নিয়ে মুখ খুললেন পূর্ণিমা। তিনি বললেন, ‘যা চলে গেছে। সেটা শেষ। মানুষ এটি নিয়ে আরো কৌতূহলী হয়। কেন এটা শেষ? আসলে কি ঘটেছে না ঘটেছে, আমি এ সম্পর্কে কথা বলতে চাই না। কারণ এটা বহু বছরের সম্পর্ক। প্রায় ১২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। আমি এত বছর ধরে চেষ্টা করেছি। কোনোভাবে মনের মিল, বোঝাপড়ার অস্তিত্ব নেই এমনটা হয়নি।
পূর্ণিমা জানান, তিন বছর আগে ফাহাদের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। সম্পর্কের অবসান ঘটলেও, অভিনেত্রী তার প্রাক্তন স্বামীর মঙ্গল কামনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কারো খারাপ কামনা করি না। আমি চাই না কারো জীবন নষ্ট হোক। যেভাবেই হোক বোঝার মাধ্যমে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও যখন পারলাম না, চুপচাপ সরে গেলাম।
পূর্ণিমার বিয়ে তার অনেক ভক্তের মন ভেঙে দিয়েছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে পূর্ণিমা তাদের ক্রাশ। নায়িকা এভাবে বিয়ে করায় তাদের মন খারাপ। শুনে পূর্ণিমা হেসে ফেলল। মজার ছলে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি কাঁদাচ্ছিলাম। মাঝখানেও কাঁদাচ্ছিলাম। তারা সবসময় কাঁদায়। কেন বিয়ে করলাম, বুড়ি হলাম না কেন? আবার বিয়ে করলাম কেন? তাই তারা সবসময় কাঁদতে থাকি। এখন আমি আর পারলাম না।’
এদিকে পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ের খবর রীতিমতো অবাক হয়েছে তারকাদের অনেকেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে জায়েদ খান-বাপ্পী চৌধুরীসহ কয়েকজনকে।