বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের উঠতি অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অধরা খান। বেশ কিছু মাস ধরে তিনি সিনেমা জগতে কাজ করে চলছেন। সম্প্রতি সৈকত নাসির পরিচালিত ‘সীমান্ত’ ছবিটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে গত আগস্টে ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু সেন্সর বোর্ড আপত্তি তুলে তা সেন্সর হতে বাধা দেয়। ফলে ছবিটির মুক্তি বিলম্বিত হয়। সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সংশোধনী ঠিক করার পর গত অক্টোবরে ছবিটি আবার সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এবার ছবির নামও বদলানো হয়েছে। সুলতানপুর রাখা হয়েছে।
কয়েক মাস অপেক্ষার পর আনকাট সেন্সর পেল ‘সুলতানপুর’। সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন পরিচালক। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন নতুন প্রজন্মের চিত্রনায়িকা অধরা খান। এটি জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে।
নতুন সিনেমার মুক্তি ও অনন্য বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন অধরা খান। তিনি বলেন, নতুন ছবিটি সেন্সর পেয়েছে। খুব ভালো কাজ করে। প্রতিটি নতুন সিনেমা আমার কাছে নতুন জীবনের মতো।
সুলতানপুরে দর্শকরা আপনাকে কীভাবে দেখবেন? অধরা খান বলেন, এ ছবিতে সামিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি সীমান্ত এলাকার সন্তান। আমার বাবা একজন সৎ মানুষ। বর্ডার নিয়ে নেতিবাচক কিছু হলে বন্ধুদের সাথে তা মোকাবেলা করার চেষ্টা করি। এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ ছিল।
আপনি, নতুন প্রজন্মের নায়িকা, শোবিজ মানেই গুজব, এগুলোকে কীভাবে দেখেন? অধরা খান বলেন, প্রথমে খারাপ লাগছিল। এখন দরকার নেই। শোবিজে সব সময়ই গুঞ্জন থাকবে। এর মাধ্যমে আপনাকে কাজ করতে হবে। দিনের শেষে, কাজ যা স্থায়ী হয়। এজন্য আমি কাজ করতে চাই। এখন আমি এগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিতে পারি।
প্রসঙ্গত, সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে অধরা খানকে জিজ্ঞাস করা হয় তার ফিল্ম জগৎ নিয়ে। এ সময় তিনি বলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চলচ্চিত্র জগৎকে একটি পরিবার মনে করি। আমি আমার পরিবারকে যেভাবে দেখি এই পৃথিবীকে আমি সেভাবেই দেখি। নিজের কথা না ভাবলে কাজ করা কঠিন। তাই সিনেমা জগত আমার কাছে বরাবরই একটি পরিবারের মতো।