নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এরই সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগ দলের অন্যতম নেতা ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন মির্জা ফখরুলকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানালে বিএনপি খুশি হবে। তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘিরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানালেন বেশ কিছু কথা।
বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (Gayeshwar Chandra Roy) বলেছেন, “মির্জা ফখরুলকে (Mirza Fakhrul) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (chief election commissioner) মোশাররফ এবং গয়েশ্বর চন্দ্রকে নির্বাচন কমিশনার (election commissioner) করলেও নির্বাচন (election) সুষ্ঠু হবে না। কারণ পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার। সেই পদ্ধতি নির্বাচনকালীন একটি অরাজনৈতিক সরকার। এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুলকে নির্বাচন কমিশনার করা হলে বিএনপি খুশি হবে।মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রোগ মানুষের হয়, রোগ যায়, রোগের চিকিৎসা আছে। কিন্তু আমি মনে করি যে এই রোগ সারা জাতিকে আক্রান্ত করছে তার চিকিৎসা খুবই জরুরি। আমরা যদি প্রার্থনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে আর পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এই আক্রমণ থেকে রেহাই নাই। প্রায় ১৫ বছর ধরে পুরো জাতি নি/র্যা/তি/ত হয়েছে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় এমন সরকার এই চরিত্রের অধিকারী হবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, দমন-পীড়ন, পেশিশক্তি বা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনগণের আশা-আকাঙ্খা ও অধিকারকে দমন করা এবং সরকারের কাছ থেকে বলপ্রয়োগ করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করা। লুট/পা/টে/র মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিদেশে পা/চা/র করে বাংলাদেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র বুঝতে ব্যর্থ হলে এ দেশকে বাঁচানো আমাদের জন্য কঠিন হবে।
এ সময় গয়েশ্বর আরও বলেন, আপনারা শুনেছেন একটা স্যাংশন, আমি ৭ জনের নাম শুনেছি। তবে ৭ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে হয় না। দেশ ছেড়ে যাঁরা দুবাইয়ে আ/ট/কে পড়েছিলেন, তাঁদের পাশাপাশি এই ৭ জনের নামও প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর দেশে ফিরে আসেন। হিসাব করলে সংখ্যাটা কোথায় যাবে জানি না। এটা এমন কিছু নয় যা আমরা উপভোগ করি। এটা দেশের নাগরিক হিসেবে অপমান। বিদেশীরা যে কোনো মাপকাঠিতে আমাদের দেশকে পরিমাপ করছে তার প্রমাণ হল বাইডেন কর্তৃক আহ্বান করা গণতন্ত্রের সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বা আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকে কমিশনারদের। এক্ষেত্রে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তবে এই সংলাপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এমনকি নতুন নির্বাচন কমিশন আইন নিয়েও নানা তর্ক-বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে।