হলফনামায় সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। এছাড়া তথ্য গোপন করে আদালতের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালককে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি একজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সালাদিন ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১১ সালে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগ দেন। চাকরি থেকে অব্যাহতি না পেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্রে তিনি নিজেকে একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী উল্লেখ করে নথিপত্র দাখিল করলেও তিনি পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার বিষয়টি গোপন করেন। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে ৬০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আদায়ে ত্রুটি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। এরপর হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান সালাহউদ্দিন। পরে আজ চেম্বার আদালত সালাহউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।