আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসার পর নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে কারন তারা উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘ দিন ক্ষমতা থাকার। যার কারনে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো আস্তে আস্তে দুর্বল করে ফেলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দলীয়করনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভক্ত করেছে। তারা বিরোধী দলগুলোকে কোনো ভাবে দাঁড়াতে দিতে চায় না যার কারনে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দারার হামলা মামলা দিয়ে রাজনীতির মাঠে নামতে দেয়নি বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু নিচে তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট কী? সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে আওয়ামী লীগ একটা ফেয়ার নির্বাচনে ভয় পায়। সে মনে করে একটা ফেয়ার নির্বাচন দিলে সে জিততে পারবেনা। ভেবে দেখেন এই থেকেই সব সমস্যা শুরু। এই থেকেই গুম খুন ক্রস ফায়ার, আয়নাঘর, ভারতের সাথে মোমেনের স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক, গোপালি পুলিশ, খাড়ায়ে যাওয়া বসায়ে দেওয়া, ইভিএমে ১৫০ আসনে নির্বাচন সবকিছু।
আবার দেখেন নির্বাচনের মাঠ ফাকা করে নিলে আবার পাব্লিকে ভোট দিতেই যায় না। নৈশ ভোট করলে পশ্চিম মাইনা নেয় না। তারে তো এইটাও দেখাইতে হবে যে একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হইছে।
আওয়ামী লীগ যদি এই কনফিডেন্স পাইতো যে সে নির্বাচনে দাড়াইলে পাব্লিকে খুশি মনে তারে ভোট দিয়া জিতায়ে দিবে তাহলে বাংলাদেশের সব সংকট কাইট্যা যাইতো। আমাদের সবারই উচিৎ আওয়ামী লীগরে এমন একটা স্ট্রাটেজি দেয়া যেই স্ট্রাটেজি অনুসরণ করলে সে ১০০% নিশ্চয়তা সহকারে ফেয়ার নির্বাচনে জিততে পারবে।
আমি আওয়ামী লীগকে একটা ফুল প্রুফ স্ট্রাটেজি দিতে চাই। এই স্ট্রাটেজি নিলে আপনি যতো বড় আওয়ামী বিরোধী হন না কেন আওয়ামী লীগকে আনন্দের সাথে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়া আসবেন। শুধু আপনি না মির্জা ফখরুলও ভোট দিয়া আসবে নৌকায়। জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে দিবে ভোট।
আজকের আলোচনাটা খুবই সিরিয়াস আলোচনা। দেশ ও জাতির ভবিষ্যত নিয়ে তাই আশা করি মন দিয়ে শুনবেন। আজকে কিন্তু কোন ফান হবেনা। বি সিরিয়াস।
প্রসঙ্গত, আওয়ামীলীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে রাজি নয় কারন তারা বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের কর্মকান্ডে খুশি নয়। সে জন্য তারা আবারও একটি বিনা ভোটের নির্বাচন করতে চেষ্টা করছে।