Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Politics / শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়া বিএনপি কি দলের মিডল অর্ডার দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে পারবে!

শীর্ষ নেতৃত্ব ছাড়া বিএনপি কি দলের মিডল অর্ডার দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে পারবে!

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ, সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান এখন স্ব-নির্বাসনে লন্ডনে রয়েছেন। তার বক্তব্য প্রচারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য জানতে পারছেন না দলের নেতাকর্মীরা। আর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ২৮ অক্টোবরের সাধারণ অধিবেশনে সময় গোলযোগের অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন।

মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতিতে তিন দফায় যে নেতৃত্বের খবর গণমাধ্যমে আসছে, সেই নেতৃত্ব দলের সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি কি নেতৃত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়ালিউর রহমান বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। গত ২৮ অক্টোবর এ কর্মসূচি পালন করা হলেও নিজেদের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পুলিশ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। সাংবাদিকদের মারধর করা হয়। অভিযোগ, জাল বিডেনের উপদেষ্টাকে মিথ্যা বলেছিলেন। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা হয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বিএনপি নেতৃত্ব? আপনি যদি নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে এটা কিভাবে হলো?

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজনৈতিক কৌশলে বিএনপি সব মাইনাস, আওয়ামী লীগ পেয়েছে ডবল এ প্লাস। স্বাভাবিক কারণেই মির্জা ফখরুলের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমান নেতৃত্বকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা বিএনপিই ভালো করে জানে।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতার বলেন, এই নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলছে। এখানে টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার নেই। ম্যাডাম বেঁচে আছেন। তিনি যা বলবেন তাই হবে। নেতাকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। জনসমাবেশে পুলিশ কিছু সহযোগিতা করেছে। এখনো করছে কিন্তু পুলিশ যদি ঘুরে ঘুরে বিএনপির পক্ষে না আসে তাহলে আর কিছু করার থাকে না।

তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। ২৮ অক্টোবরের সব ঘটনা বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যই করা হয়েছে। দলের নেতাদের সে বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত ছিল। এসব ঘটনার দায় বর্তায় বিএনপির ওপর, কারণ তারা সতর্ক ছিল না। বিএনপির বিশাল জনসমাবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিরোধীরা সাধ্যমত চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। এটা ভাবতে পারেননি বিএনপি নেতারা। সেজন্য বলছি, এসব নেতাকে দেওয়া হবে না। আমাদের নতুন প্রজন্মের নেতা তৈরি করতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছি। কমিটি গঠন করে আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু সেটা কোথায়?

মেজর (অব.) আখতার বলেন, এখন বিএনপির কিছু করার নেই, তারা বসে বসে দেখবে। তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলে যাবে। তবে অবরোধের প্রথম দিনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে সমর্থন জানায়। ঈদের মতো ফাঁকা ছিল ঢাকা শহর! বাকি দুই দিনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘর থেকে বের না হলে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে।

বিএনপির এই সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, কে বা কারা ২৮ অক্টোবর সহিংসতা করেছে সে বিষয়ে বিএনপির স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া উচিত ছিল। কারা ঘটিয়েছে তা বিএনপিকে স্পষ্ট করতে হবে। গাড়ি ভাংচুর, হাসপাতালে হামলা, পুলিশ মারধর, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সাংবাদিকদের মারধর করে তাদের ক্ষতি হবে তা কি বিএনপির নেতাকর্মীরা জানতেন না।

About Zahid Hasan

Check Also

‘আ.লীগ রঙ দেখছে, কিন্তু রঙের ডিব্বা দেখেনি’ দল যে সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়, তাতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *