আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ ছুড়ে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে শীতবস্ত্র দিতে ডাকব শীতবস্ত্রটাই দেব, এখানে ভাষণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। এটারতো কোনো দরকার নেই।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শীতবস্ত্র দিতে শীতার্ত মানুষদের এখানে ডেকে আনলাম তাদের বক্তৃতা শোনাবার দরকার কি? এখানে কেউ বক্তৃতা শুনতে আইছে? তাহলে তো আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের স্বার্থপরতার চিহ্ন রেখে গেলাম! এটা ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, শীতবস্ত্র দিতে ডাকলে আমরা শীতবস্ত্র দেব, এখানে বক্তৃতা দেওয়ার দরকার নেই। এটারতো কোনো দরকার নেই।
দীর্ঘ সিরিজে নেতাদের বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫-৬ জন ইতোমধ্যে ভাষণ দিয়েছেন আরও আছে? এই লোকগুলো কি ভাষণ শুনেছে কেউ? না শুনতে এসেছে? ফেরদৌস (ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ) তার নায়কের ভঙ্গিতে যেভাবে বলেছে, এটা কি এরা বুঝে? এটা বুঝাবার ক্ষমতা তাদের নাই? এরা আসছে একটা শীতবস্ত্রের জন্য আমার ভাষণ শুনতে আসেনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকরা আছেন, আমি যদি দলের সেক্রেটারি বা অন্য কোনো নেতা হয়ে থাকি, তাহলে আপানারা প্রশ্ন করতে পারেন? এটা কি রাজনৈতিক প্রশ্ন হতে পারে? তবে তাদের ঠান্ডা পোশাক দেওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখা ভাল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। তারা আশা হারিয়ে ফেলেছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ডাঃ শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ডা. নির্মল কুমার চরতাজী, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।