বাংলাদেশ সরকার যে সকল মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বর্তমানে এখনো এটির নির্মান কাজ চলছে। তবে এখন এই টানেলের প্রায় ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবারেই টানেলের কিছু অংশ চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে প্রতিদিন চলাচল করবে ১৭ হাজারের বেশি গাড়ি। থাকছে না হেঁটে চলাচলের কোনো সুযোগ। সেই সঙ্গে দুই চাকার বাহন, কোনো গ্যাস বহনকারী গাড়ি টানেলে ঢুকতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু টানেলেও চলবে না মোটরসাইকেল। এদিকে গাড়ির গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ ও চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। জানা গেছে, আগামী অক্টোবরের শেষে খুলে দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একাংশ। পুরোপুরি চালু হবে ডিসেম্বরেই। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, টানেল চালু হলে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারে। সে হিসাবে দিনে চলাচল করবে ১৭ হাজারের বেশি গাড়ি। টানেলে হাঁটা, সাইকেল, মোটরসাইকেল ও কোনো ধরনের গ্যাস নিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে না বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।
টানেলে যেসব গাড়ি চলাচল করবে সেগুলোর গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ ও চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, টানেলে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। টানেলের কাজ ইতোমধ্যে ৮৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৬ জুন ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। পরে সেতুতে বেপরোয়াভাবে অধিক মোটরসাইকেল চলাচল শুরু করে, ঘটে দুর্ঘটনাও। মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি থাকায় দুই তরুণ ওই দিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সেতুর পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারের মেঘা প্রকল্পের আওতাধীন সব থেকে চ্যালেঞ্জিং এবং বড় অর্জন পদ্মা সেতু যেটি সম্পুর্ন নিজেদের দেশের অর্থায়নে নির্মিত সেটি গত ২৫ জুলাই শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে সমগ্র বিশ্বের কাছে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের উদ্যেগে দেশের আরো একটি গৌরবউজ্জল অর্জন বঙ্গবন্ধু টানের প্রায় শেষে দিকে। এই বঙ্গবন্ধু টানেলও এখন শুধু উদ্ধোধনের অপেক্ষায়।