পিরোজপুর-২ আসনের (ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) ৩৮ বছরের সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুরের। এ আসনে নতুন এমপি হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৫৪৪ ভোট এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৯৬ ভোট।
পিরোজপুর-২ আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মন্ত্রী টানা ১৪ বছর প্রবীণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কারণে প্রায় চার দশক ধরে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। তবে তার সাবেক পিএস মহিউদ্দিন মহারাজ তাকে বেশ কয়েক বছর ধরে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিষ্যের কাছে হারতে হয়েছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে।
তিন উপজেলার মধ্যে ভান্ডারিয়ায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (নৌকা) পেয়েছেন 26061 ভোট। আর মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৪০৬০৭ ভোট। এ উপজেলায় মহারাজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল এ উপজেলার তিন নম্বর তেলিখালী ইউনিয়নে। এখানকার ভোটাররা সর্বসম্মতিক্রমে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
৯টি ওয়ার্ডের ফলাফলে দেখা গেছে, মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীকে ১৫০০৪ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন মাত্র ৪৯ ভোট।
কাউখালী উপজেলায়ও মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ভোট। প্রাপ্ত ফলাফলে- ঈগল পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৭০ ভোট এবং নৌকা পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৭৪ ভোট।
জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীকে ৪৫ হাজার ৮৪৭ ভোট এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৮ ভোট। এখানে নৌকার চেয়ে ঈগল পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট বেশি।