দেশের বৃহত্তর সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকা ঘটে গেছে একটি মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গেছে সেখানে একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে তাদের ঝুল’ন্ত ‘ম’র’দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে।
নি’হ’তরা হলেন রিপন তালুকদার (৩২) ও শিপা তালুকদার (২৬)।
রিপন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনেরবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের রুকনি তালুকদারের ছেলে এবং শিপা একই গ্রামের পানিদ দাসের মেয়ে।
তারা পল্লবী আবাসিক এলাকায় ধীরেন্দ্র দে-এর বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। এই দম্পতির ঋত্বিক তালুকদার নামে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
জানা যায়, সকালে শিশু ঋত্বিকের কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এসে চিৎকার করে। কিন্তু অনেকক্ষণ ঘর থেকে কেউ দরজা খোলেনি। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে কল করে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে পৃথক দুটি কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
দুজনের লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ও’ড়’না দিয়ে ঝু’ল’ন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ি থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাতে লেখা ছিল, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো। ’ তবে চিরকুটটি কার লেখা, সেটা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান কালের কণ্ঠকে বলেন, রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ‘
এ দিকে এই ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় বিরাজ করছে বেশ চাঞ্চল্য। সকলেই এমন একটি ঘটনায় হয়েছে বেশ হতবাক। এ ছাড়াও এই দম্পতির মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে। তবে সঠিক কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।